বরখাস্ত হাথুরুসিংহে, নতুন কোচ সিমন্স

- আপডেট সময় : ০৭:১০:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
- / ১২৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম দফার মতো বাংলাদেশে চান্দিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় অধ্যায়ও শেষ হলো মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে এই শ্রীলঙ্কানকে অব্যাহতি দিল বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ফারুক আহমেদ নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই জানিয়েছিলেন হাথুরুর বিকল্প কোচ খোঁজার কথা। যদিও পাকিস্তান সিরিজে অবিশ্বাস্য ফল এবং পরপরই ভারতের মাটিতে সিরিজ। সব মিলিয়ে হাথুরু অধ্যায় অনেকটা চাপা পড়ে গিয়েছিল।
তবে ভারতের বিপক্ষে দুই ফরম্যাটের সিরিজেই ভরাডুবির পর আবারও নড়েচড়ে বসে বিসিবি। আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগেই বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে। সেই সঙ্গে তাকে শোকজও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুকে শোকজ ও বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে লঙ্কান এই কোচের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব পাচ্ছেন ফিল সিমন্স। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত টাইগার হেড কোচের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভাঙার দায়েই মূলত হাথুরুকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ফারুক। সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, আইনগত কিছু বিষয় থাকায় শুরুতে তাকে শোকজ ও সাসপেন্ডের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরেই চুক্তি বাতিলের বিষয়টি আসবে। সব মিলিয়ে তাকে বিদায়ের বিষয়টি পাকা করে ফেলেছেন তারা।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে। এটা দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত করার আগে আমরা তাকে নিয়ম মেনে শোকজ নোটিশ করেছি। এরপর আমরা বরখাস্ত করব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত কোচ ফিল সিমন্স। হাথুরুকে বরখাস্তের কারণ জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে যেগুলো মেনে নেওয়া একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে খুব পীড়াদায়ক ছিল। এটা ভালো উদাহরণ ছিল না আরকি। তাই ওইদিক বিবেচনা করে আমরা আজকে একটা শোকজ নোটিশ দিয়েছি। আপনারা জানেন এই প্রক্রিয়াগুলো খুব একটা সহজ নয়। আইনি দিক থাকে এগুলোর।
ওয়ানডেতে জয় এসেছে ১৩টি, হার ১৯টি, পরিত্যক্ত হয়েছে তিন ম্যাচ। গত বিশ্বকাপে প্রবল আশা নিয়ে গিয়ে চরম হতাশাজনক পারফরম্যান্স করে ফেরে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে জয় ১৯টি, হার ১৫টি, পরিত্যক্ত এক ম্যাচ। এই সংস্করণেও গত বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি দল।