বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে বিরোধিতা করে আসা কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার এস আলম নামের বাক্তির বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ছাত্র-জনতা। এস আলমের পুরো নাম শামীম আলম। তিনি উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারু নেফরা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমানের ছেলে। শামীম আলম কোটায় পুলিশের চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের চাকরি করার পরও দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের লেজুড়বৃত্তি করে আসছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এস আলম ওরফে শামীম আলম বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। ছোটবেলা থেকেই চতুর প্রকৃতির লোক তিনি। নিজেকে মানবিক কর্মী হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টা চালালেও মূলত তিনি একজন ধান্ধাবাজ প্রকৃতির। মানবতার বাতিঘর নামে তার একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ছিল। মূলত বিভিন্ন অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার কথা বলে দাতাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে পকেটস্থ করতেন। এ নিয়েও এলাকায় নানা আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার কারণে মানবতার ঘর সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এতেও ক্ষান্ত হননি তিনি। আবার শুরু করেন নতুন ধান্ধা। খোলেন মানবতার বাতি ঘর নামে নতুন সংগঠন। শুরু হয় তার সেই পুরনো ধান্ধাবাজি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী আরো জানায়, শামীম আলম পুলিশের চাকরি করলেও উলিপুরের সাবেক আওয়ামী এম পি এম.এ মতিন, এমপি পুত্র মারজান, সাবেক এম পি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা পান্ডে) সহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের লেজুরবৃত্তি করার কারণে বেশিরভাগ সময় এলাকাতে অবস্থান করতেন।
সম্প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনে জুলাই হত্যা কান্ডে এলাকায় শামীম আলম নানা উসকানিমূলক কথা বলে বেড়াচ্ছিলেন। এমনকি ফেসবুকেও নানা পোস্ট করেছেন তিনি, এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
সম্প্রতি কোটা বিরোধী আন্দোলনে শামীম আলম ওরফে এস আলমের ভূমিকা নিয়ে উপজেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তার দেয়া বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রীণশর্ট নিয়ে পোস্ট করছেন বিভিন্নজন। চলছে নানা সমালোচনা।
এসব বিষয়ে শামীম আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।