সিংগাইরে শাশুড়ী হত্যা মামলায় গৃহবধূর পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ০২:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে শাশুড়ী হত্যা মামলায় পুত্রবধুর পর পরকীয়া প্রেমিক সবুজকে গ্রেফতার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে ২ (দুই) দিনের রিমান্ডে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে সবুজ।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোঃ বশির আহমেদ (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরের কাফরুল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মূল আসামী সবুজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার শ্যামনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রুনাকে প্রেমের জালে জড়াতে সবুজ কাল্পনিক আধ্যাত্মিক হুজুর( অদৃশ্য) এর রুপ ধরাসহ বিভিন্ন কৌশল করে এবং হুজুরের বেশ নিয়ে সবুজ নিজেই রুনার শাশুড়ীকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে বাক্সের ভেতর লাশ লুকিয়ে রাখে। হত্যাকাণ্ডের শিকার শাশুড়ীর জন্য সবুজ তার পরকীয়া প্রেমিকা রুণার সাথে মিলিত হতে পারত না। ঘটনার দিন সবুজ রুনাকে বলে যে তার কাছে থাকা অদৃশ্য আধ্যাতিক হুজুর সন্ধ্যায় সবুজের রুপ ধরে রুণার শাশুড়ীকে বোতলবন্দী করতে যাবে।
এরপর হুজুররুপী সবুজ সন্ধ্যায় রুণার বাড়িতে পৌছালে রুণা কলাপ্সিবল গেট খুলে দেয়। সবুজ ভেতরে ঢুকে নিহত হায়াতুন কে মেঝেতে বসা অবস্থায় পায় এবং পেছন থেকে নাকসহ মুখ সজোরে চেপে ধরে। এভাবে আনুমানিক ৫ মিনিট চেপে ধরে রাখলে হায়াতুন নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে সবুজ লাশ গুম করার জন্য একই ঘরে থাকা স্টিলের বাক্সের মধ্যে লাশ লুকিয়ে ফেলে তালা মেরে দেয়। পরবর্তীতে সবুজ পাশের ঘরে থাকা প্রেমিকা রুনাকে বলে আমি(আধ্যাতিক হুজুর) তোমার শাশুড়ীকে বোতল বন্দীকরে নিয়ে যাচ্ছি, কিচ্ছুক্ষণ পরে তোমার প্রেমিক সবুজ আসবে বলে চলে যায়। পরবর্তীতে সবুজ আবার এসে তার প্রেমিকার সাথে রাত্রিযাপন করে।
উল্লেখ্য যে, গত ৬ অক্টোবর রবিবার সিংগাইর পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী নিজ বাড়িতে পুত্রবধূর হাতে খুন হন শাশুড়ি হায়াতুন নেছা। হায়াতুন নেছাকে হত্যার পর রাখা হয়েছিল সিন্ধুকে ভরে। ওই ঘটনার দিনই পুত্রবধূ রুনা বেগম ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে দেয়া জবান বন্দিতে রুনা বেগম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তার শাশুড়িকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এরই সূত্র ধরে ১৮ দিন পর ওই পরকীয়া প্রেমিককে মিরপুর ১৩ নাম্বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।