ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গা কুমার নদ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬২ বার পড়া হয়েছে

ভাঙ্গা(ফরিদপুর) সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা কুমার নদ থেকে চয়ন দাস (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা ফাঁয়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া কুমার নদের ঘাটলা থেকে মরহেদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত চয়ন দাস পৌরসভার চৌধুরীকান্দা শদরদীর গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। চয়নের পরিবার কলেজপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

চয়নের বাবা গৌরাঙ্গ দাস জানায়, আজ দুুপুরের পর চয়নের মামা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিলো। তাই সে তাঁর মায়ের কাছে কুমার নদের ঘাটে গোসল করতে বায়না ধরে। কিন্তু, চয়ন নদীতে সাতার কাটতে না জানায়, তাকে নদীতে গোসলে যেতে বারংবার নিষেধ করার পরও কাইকে না বলেই গোসলে যায়। এরপর প্রায় ঘন্টা খানেক চয়নকে খুঁজাখুঁজির পর নদীর ঘাটলায় গিয়ে দেখা যায় চয়নের পায়ের স্যান্ডেল পড়ে আছে। কিন্তু, চয়ন নেই। চয়নের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন, ‘বিধির লিখন না যায় খন্ডন’। ‘ভগবান আমার কি পরিক্ষা নিলো’ আমার শিশু ছেলেটি পানিতে ডুবেই মারা গেলো।

স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানানোর পর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে চয়নের নিথর মরদেহ নদীর পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা ফাঁয়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আবু জাফর জানায়, কুমার নদের পাড়ের দিকে পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করেন। লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভাঙ্গা কুমার নদ থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৯:১১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভাঙ্গা(ফরিদপুর) সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের ভাঙ্গা কুমার নদ থেকে চয়ন দাস (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা ফাঁয়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভাঙ্গা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া কুমার নদের ঘাটলা থেকে মরহেদ উদ্ধার করা হয়।

নিহত চয়ন দাস পৌরসভার চৌধুরীকান্দা শদরদীর গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিলো। চয়নের পরিবার কলেজপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

চয়নের বাবা গৌরাঙ্গ দাস জানায়, আজ দুুপুরের পর চয়নের মামা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিলো। তাই সে তাঁর মায়ের কাছে কুমার নদের ঘাটে গোসল করতে বায়না ধরে। কিন্তু, চয়ন নদীতে সাতার কাটতে না জানায়, তাকে নদীতে গোসলে যেতে বারংবার নিষেধ করার পরও কাইকে না বলেই গোসলে যায়। এরপর প্রায় ঘন্টা খানেক চয়নকে খুঁজাখুঁজির পর নদীর ঘাটলায় গিয়ে দেখা যায় চয়নের পায়ের স্যান্ডেল পড়ে আছে। কিন্তু, চয়ন নেই। চয়নের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন, ‘বিধির লিখন না যায় খন্ডন’। ‘ভগবান আমার কি পরিক্ষা নিলো’ আমার শিশু ছেলেটি পানিতে ডুবেই মারা গেলো।

স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানানোর পর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে চয়নের নিথর মরদেহ নদীর পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা ফাঁয়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার আবু জাফর জানায়, কুমার নদের পাড়ের দিকে পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করেন। লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।