ঢাকা ১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শীত মৌসুমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ইনানী পাথুরে সী-বীচ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, ইনানী থেকে ফিরে

কক্সবাজার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ইনানী পাথুরে সী-বীচ শীত মৌসুমে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিশাল পাথুরে বিচ, নীল জলরাশি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মিশ্রণে এটি পর্যটকদের কাছে একটি চমকপ্রদ স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইনানী সী-বীচ, যা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের দক্ষিণে অবস্থিত, শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। ঢাকা মিরপুর থেকে আসা পর্যটক সুমি আক্তার রিফা বলেন, এটি আমার প্রথম ইনানী সী-বীচ সফর এবং আমি এখানে এসে যা দেখেছি, তা বইয়ে পড়া তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর। পাথুরে বীচ, সাগরের জলরাশি, প্রকৃতির নিরবতা সব কিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। শীতকালে ইনানী সী-বীচে আগত পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে বলছেন, এখানে এসে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো তাদের জন্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সমুদ্রের পাড়ে পাথর পেরিয়ে হাঁটতে এবং সাগরের নীল জলরাশিতে গোসল করতে ভীষণ উপভোগ করছেন। পর্যটকরা বলছেন, ইনানী সী-বীচের সৌন্দর্য এবং এখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তাদের মনকে এক নতুন অনুভূতি দিয়েছে। আরিফুর রহমান শান্ত নামে এক পর্যাটক বলেন, ইনানী সী-বীচের শান্ত পরিবেশ আর অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।

এই জায়গায় আসার পর মনে হয়েছে, আমি একেবারে অন্য একটি দুনিয়ায় এসে পড়েছি। এ সময় ইনানী সী-বীচের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নতি পেয়েছে। পুলিশ এবং বিচ পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে পর্যটকরা এখানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিন-রাত তাদের দায়িত্ব পালন করছে, ফলে পর্যটকরা নিরাপদ বোধ করে। ইনানী সী-বীচ এখন কক্সবাজারের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমন্বয় পর্যটকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করছে। শীত মৌসুমে পর্যটকদের আগমনে এখানে নতুন জীবনের স্পন্দন ফিরেছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি। ইনানী পাথুরে সী-বীচ শীত মৌসুমে আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পর্যটকদের ভিড়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার এসেছে। স্থানীয় মানুষের জীবনে এসেছে এক নতুন গতি, এবং দেশের পর্যটন শিল্পও পেয়েছে এক নতুন প্রাণবন্ত দিগন্ত। এবারের শীত মৌসুম ইনানী সী-বীচে বসন্তের মতোই একটি নতুন জীবন বয়ে এনেছে—যা শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, স্থানীয় মানুষের জন্যও একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামীতেও ইনানী সী-বীচ এমনই একটি জনপ্রিয় স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিরাপত্তা এবং ব্যবসায়িক সুযোগ একযোগে বিকশিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীত মৌসুমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ইনানী পাথুরে সী-বীচ

আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, ইনানী থেকে ফিরে

কক্সবাজার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ইনানী পাথুরে সী-বীচ শীত মৌসুমে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বিশাল পাথুরে বিচ, নীল জলরাশি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব মিশ্রণে এটি পর্যটকদের কাছে একটি চমকপ্রদ স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইনানী সী-বীচ, যা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের দক্ষিণে অবস্থিত, শীতকালীন পর্যটন মৌসুমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমনে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। ঢাকা মিরপুর থেকে আসা পর্যটক সুমি আক্তার রিফা বলেন, এটি আমার প্রথম ইনানী সী-বীচ সফর এবং আমি এখানে এসে যা দেখেছি, তা বইয়ে পড়া তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর। পাথুরে বীচ, সাগরের জলরাশি, প্রকৃতির নিরবতা সব কিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। শীতকালে ইনানী সী-বীচে আগত পর্যটকরা মুগ্ধ হয়ে বলছেন, এখানে এসে প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানো তাদের জন্য এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সমুদ্রের পাড়ে পাথর পেরিয়ে হাঁটতে এবং সাগরের নীল জলরাশিতে গোসল করতে ভীষণ উপভোগ করছেন। পর্যটকরা বলছেন, ইনানী সী-বীচের সৌন্দর্য এবং এখানকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তাদের মনকে এক নতুন অনুভূতি দিয়েছে। আরিফুর রহমান শান্ত নামে এক পর্যাটক বলেন, ইনানী সী-বীচের শান্ত পরিবেশ আর অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।

এই জায়গায় আসার পর মনে হয়েছে, আমি একেবারে অন্য একটি দুনিয়ায় এসে পড়েছি। এ সময় ইনানী সী-বীচের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নতি পেয়েছে। পুলিশ এবং বিচ পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির মাধ্যমে পর্যটকরা এখানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দিন-রাত তাদের দায়িত্ব পালন করছে, ফলে পর্যটকরা নিরাপদ বোধ করে। ইনানী সী-বীচ এখন কক্সবাজারের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সমন্বয় পর্যটকদের আরও বেশি আকৃষ্ট করছে। শীত মৌসুমে পর্যটকদের আগমনে এখানে নতুন জীবনের স্পন্দন ফিরেছে, যা স্থানীয় মানুষের জীবনে এনে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক উন্নতি। ইনানী পাথুরে সী-বীচ শীত মৌসুমে আবারো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। পর্যটকদের ভিড়ে এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার এসেছে। স্থানীয় মানুষের জীবনে এসেছে এক নতুন গতি, এবং দেশের পর্যটন শিল্পও পেয়েছে এক নতুন প্রাণবন্ত দিগন্ত। এবারের শীত মৌসুম ইনানী সী-বীচে বসন্তের মতোই একটি নতুন জীবন বয়ে এনেছে—যা শুধু পর্যটকদের জন্য নয়, স্থানীয় মানুষের জন্যও একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামীতেও ইনানী সী-বীচ এমনই একটি জনপ্রিয় স্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নিরাপত্তা এবং ব্যবসায়িক সুযোগ একযোগে বিকশিত হবে।