বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির কমিটিতে তরুণ নেতৃত্বে মামুনকে সম্পাদক চায় তৃণমূল

- আপডেট সময় : ১১:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৫৯২ বার পড়া হয়েছে
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক দুইবারের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মঞ্জুর বড় ছেলে তরুণ প্রজন্মের আইডল মোস্তাফিজুর রহমান মামুনকে উপজেলা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই। হামলা-মামলা ও নির্যাতনে বিপর্যস্ত বিএনপি এখন বেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দলের নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা নির্ভার। প্রায় দেড় যুগ ধরে হামলা-মামলা ও জেল-নির্যাতনের ক্লান্তি ভুলে এখন সংগঠন গোছানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। ১৫ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সম্মেলন দিয়ে শুরু যা আগামী মাসের মধ্যেই কমিটি পুনর্গঠন শেষ করবে জেলা বিএনপি।
এদিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপির দী-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করার পরপরই নড়েচড়ে বসেছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। পদ পেতে শুরু করছেন নানা তদবির! দলের জেলা রাজনীতিতে যারা সক্রিয়, তারা নিজ নিজ বলয় থেকে নেতৃত্ব উঠিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তারা। একইসঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও তার নিজস্ব চ্যানেলে যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়—এমন নেতাদের নেতৃত্বে আনতে কাজ করছেন।
সদর উপজেলা সম্মেলনে নেতারা বলছেন এক মাসের মধ্যে জেলা সকল উপজেলার কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটিকে কেন্দ্র করে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি হওয়ার খবরে বিএনপির রাজনীতি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে কয়েকজন নেতাদের নাম। তাদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের নাম। বাজিতপুর উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে বড় একটা অংশই গুরুত্বপূর্ণ এই দায়িত্বে তাকে দেখতে চায়।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, গত ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বাজিতপুর বিএনপির নেতা-কর্মীরা মামলা-হামলা আর গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন।
নেতাকর্মীরা যখন নির্যাতিত ছিলেন তখন উপজেলা বিএনপির তরুণ নেতৃত্বের ‘আইডল’ মুস্তাফিজুর রহমান মামুন আমাদের শেষ ভরসা ছিলো। কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি আমেরিকায় ছিলেন তবে নেতা কর্মীরদের সকল প্রকার সমস্যায় নিজেকে সামনের সারিতেই রেখেছিলেন। এমনকি সেই সময়ে তার বাড়ি-ঘরেও হামলা চালিয়েছিল প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও সরকার পতনের আন্দোলনেও হুমকিধামকি উপেক্ষা করে হাজারও নেতাকর্মী তার নির্দেশনায় রাজপথে ছিলেন।
বাজিতপুর বাজারের সুভাস রায় সহ একাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বের সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মন্দির ভাঙচুরের খবর পেলেও আমাদের বাজিতপুরে এরকম কিছু ঘটতে শুনিনি। সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু সাহেব আমাদের যেভাবে নিজ পরিবারের মতো আগলে রেখেছেন। এখন মামুন ভাই এলাকায় এসে আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এজন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি যদি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, তাহলে আমরা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা ওনার পাশে থাকবো।
বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রদল নেতা শরিফ বলেন, ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। এখন মামুন ভাইয়ের নেতৃত্বে রাজপথে আছি, যেকোনো সময় ডাক পেলে আবারও নামবো। আমরা আশা করি মামুন ভাইয়ের নেতৃত্বে বাজিতপুর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। সামনের দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনে মামুন ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই।