ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

আমতলীতে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে রাতের আধারে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮০ বার পড়া হয়েছে

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

রাতের আধারে জোরপুর্বক দখলীয় জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার। তিনি আরো অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা এ ধান কেটে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি। গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০—২৫ জন সন্ত্রাসী রাতের আধারে ধান কেটে নেয়। পরের দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগ্নে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ধান নিয়েই খ্যান্ত হয়নি উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, পাশা মিয়া হাওলাদার ও নাশির উদ্দিন হাওলাদার।

অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণ নাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমতলীতে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে রাতের আধারে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা

রাতের আধারে জোরপুর্বক দখলীয় জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার। তিনি আরো অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা এ ধান কেটে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি। গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০—২৫ জন সন্ত্রাসী রাতের আধারে ধান কেটে নেয়। পরের দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগ্নে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ধান নিয়েই খ্যান্ত হয়নি উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, পাশা মিয়া হাওলাদার ও নাশির উদ্দিন হাওলাদার।

অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণ নাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।