ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতা কোন পথে, ভবিষ্যৎ কোথায়?

লেখক- রাকিবুল হাসান ফরহাদ
  • আপডেট সময় : ০২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিকতা এক সময় ছিল নিঃস্বার্থ সত্যের অনুসন্ধান। আজ, সে পথ কাঁটায় ভরা। গুজব, রাজনৈতিক চাপ, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অপপ্রচার এবং আইনগত শঙ্কা—সব মিলিয়ে আজকের সাংবাদিকতা এক কঠিন ক্রান্তিকাল পার করছে। তবু প্রশ্ন থাকে: এই পেশার ভবিষ্যৎ কী?

সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ: কেবল প্রযুক্তি নয়, দায়বদ্ধতাও-

প্রযুক্তি সাংবাদিকতায় যেমন নতুন সম্ভাবনা এনেছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও বাড়িয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেটেড নিউজ জেনারেশন, ডেটা জার্নালিজম—এসব নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। কিন্তু যন্ত্র কখনোই মানুষের বিবেক হয়ে উঠতে পারে না। সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এই প্রশ্নে: কে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারে?

নাগরিক সাংবাদিকতা: সুযোগ ও সীমা-

আজ যে কেউ স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে মুহূর্তেই তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটাই নাগরিক সাংবাদিকতা। এটি একদিকে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে—কারণ জনগণ নিজেরাই ঘটনা তুলে ধরতে পারছে। অন্যদিকে, যাচাই-বাছাইহীন তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ব্যাপক হারে।

তাই নাগরিক সাংবাদিকতাকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে, এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

মিডিয়া লিটারেসি: সময়ের দাবি-

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মিডিয়া লিটারেসি—অর্থাৎ মানুষ যেন বুঝতে পারে কোন তথ্য সত্য, কোনটি গুজব। তরুণ সমাজকে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারে সচেতন করতে হবে, শেখাতে হবে সংবাদ যাচাইয়ের কৌশল।

সাংবাদিকতা শুধু সাংবাদিকদের কাজ নয়, বরং এখন সমাজের সবার দায়িত্ব-

আমি মনে করি, সত্যের পক্ষে কলম ধরা মানে শুধু প্রতিবেদন লেখা নয়—মানুষকে জাগানো, প্রশ্ন তুলতে শেখানো, বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সাহসী হয়ে ওঠা। আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি—যেখানে প্রযুক্তি আছে, কিন্তু নৈতিকতা আগে; গতি আছে, কিন্তু যাচাই ছাড়া নয়। এই পথ চলায় আমরা আপনাদের পাশে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ই-পেপার

সাংবাদিকতা কোন পথে, ভবিষ্যৎ কোথায়?

আপডেট সময় : ০২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

সাংবাদিকতা এক সময় ছিল নিঃস্বার্থ সত্যের অনুসন্ধান। আজ, সে পথ কাঁটায় ভরা। গুজব, রাজনৈতিক চাপ, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর অপপ্রচার এবং আইনগত শঙ্কা—সব মিলিয়ে আজকের সাংবাদিকতা এক কঠিন ক্রান্তিকাল পার করছে। তবু প্রশ্ন থাকে: এই পেশার ভবিষ্যৎ কী?

সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ: কেবল প্রযুক্তি নয়, দায়বদ্ধতাও-

প্রযুক্তি সাংবাদিকতায় যেমন নতুন সম্ভাবনা এনেছে, তেমনি চ্যালেঞ্জও বাড়িয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেটেড নিউজ জেনারেশন, ডেটা জার্নালিজম—এসব নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। কিন্তু যন্ত্র কখনোই মানুষের বিবেক হয়ে উঠতে পারে না। সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এই প্রশ্নে: কে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারে?

নাগরিক সাংবাদিকতা: সুযোগ ও সীমা-

আজ যে কেউ স্মার্টফোন হাতে নিয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে মুহূর্তেই তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটাই নাগরিক সাংবাদিকতা। এটি একদিকে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করছে—কারণ জনগণ নিজেরাই ঘটনা তুলে ধরতে পারছে। অন্যদিকে, যাচাই-বাছাইহীন তথ্যের কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ব্যাপক হারে।

তাই নাগরিক সাংবাদিকতাকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে, এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

মিডিয়া লিটারেসি: সময়ের দাবি-

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মিডিয়া লিটারেসি—অর্থাৎ মানুষ যেন বুঝতে পারে কোন তথ্য সত্য, কোনটি গুজব। তরুণ সমাজকে সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারে সচেতন করতে হবে, শেখাতে হবে সংবাদ যাচাইয়ের কৌশল।

সাংবাদিকতা শুধু সাংবাদিকদের কাজ নয়, বরং এখন সমাজের সবার দায়িত্ব-

আমি মনে করি, সত্যের পক্ষে কলম ধরা মানে শুধু প্রতিবেদন লেখা নয়—মানুষকে জাগানো, প্রশ্ন তুলতে শেখানো, বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে সাহসী হয়ে ওঠা। আমরা দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি—যেখানে প্রযুক্তি আছে, কিন্তু নৈতিকতা আগে; গতি আছে, কিন্তু যাচাই ছাড়া নয়। এই পথ চলায় আমরা আপনাদের পাশে চাই।