জানে আলম অপুকে ২০২২ সালে চিনতাম, ৫ আগস্টের পর কখনও কথা হয়নি

- আপডেট সময় : ০৩:২৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ৫২ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি শাম্মি আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনার রেশ যেন থামছেই না। গত ১ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জানে আলম অপুর একটি ভিডিও ১৩ আগস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে আসিফ মাহমুদকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। তবে তাকে গ্রেপ্তারের আগে অপহরণ করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী আনিশা। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আনিশা আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তিনি বলেছেন, গোপীবাগে ইশরাকের বাসায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। তার লোকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে এ স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানে আলম অপুকে ২০২২ সালে চিনতাম। ৫ আগস্টের পর তার সাথে কখনও দেখা বা কথা কথা হয়নি। এ ধরনের ক্লেম আসার পর বেশ অবাক হইছি। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্টরুমের সংস্কৃতি চালু আছে, ৫ আগেস্টর পরে এ ধরনের গুম-নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। আমরা সেই আগের সংস্কৃতিতে ফিরছি কিনা- সেটাও ভাবনার বিষয়। পরিবারের দিক থেকে অপহরণের নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আসিফ বলেন, খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি, অপুকে গুম করে জোরপূর্বক স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে কিনা। আগে আমাদের এখানে আয়নাঘর ছিল, আমরা সেই সংস্কৃতির দিকে যাচ্ছি কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার।
ওয়েস্টিনের সামনে বাইক নিয়ে গিয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, বেশির ভাগ সময় আমি রাতে নীলা মার্কেটে যাই, সিসিটিভিতে হেলমেট পরা অবস্থায় কাউকে যদি আমার সঙ্গে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়া হওয়া হয়, সেটা দুঃখজনক। তবে স্পেসিফিক ওইদিন ওই এলাকায় গিয়েছেন কিনা, সেটা মনে নেই বলে জানান আসিফ।
এর আগে অপুর স্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ইশরাকের লোকজন অপুকে তুলে নিয়ে রাতে ভিডিও ধারণ করে। তার কাছ থেকে বারবার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলাম নাম শুনতে চাওয়া হয়। পরদিন সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অপু গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহবায়ক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে ধারণ করা অপুর একটি ভিডিও বার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ৩৫ মিনিটের ভিডিওতে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টাকেও এতে জড়িত থাকার অভিযোগ করতে দেখা যায়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। অপুর আগে গত ২৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।