এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান

- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৪২ বার পড়া হয়েছে
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার রাজধানীর পলাশী মোড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বললেন, “বাংলাদেশে সবার অধিকার সমান। এই দেশে ধর্ম-বর্ণের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমরা সবাই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলছি, ভবিষ্যতেও চলব।”
সেনাপ্রধান বলেন, “আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার হবে সম্প্রীতির এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ আমরা সবসময় বজায় রাখবো এবং একসঙ্গে সবাই শান্তিতে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এখানে কোন ধর্ম, জাতি, বর্ণ গোত্রের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। এই দেশ সবার। সবাই আমরা এই দেশের নাগরিক। প্রতিটা অধিকার আমাদের সবার সমান অধিকার। এবং সেভাবেই আমাদের সামনের সোনালী দিনগুলো দেখতে চাই।”
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে শত শত বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড়ি বাঙালি উপজাতি সবাই মিলে আমরা অত্যন্ত শান্তিতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি।”
‘এখানে নৌবাহিনীর প্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান আছেন। সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন আছে। আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকবো। এক হয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করে যাবো’-বলেন সেনাবাহিনীর এ প্রধান।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ুক। এই আদর্শের ভিত্তিতে আমরা সুন্দরভাবে এ দেশে একসঙ্গে বসবার করবো-উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, “শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা শুধু অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসই যোগায় না, ন্যায়ের পথেও চলতে শেখায়। এই বাংলাদেশ আমাদের সবার। স্বাধীনতাকে রক্ষা করা আমাদের সবার পবিত্র দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজ করলে বিশ্বের মানচিত্রে এই বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, “আসুন, পারস্পরিক সহনশীলতার মাধ্যমে দেশকে আরো শক্তিশালী করি। শ্রীকৃষ্ণ যেন সমাজে ন্যায় ও আলোর সত্য প্রজ্জ্বলিত করেন।”
এর আগে সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গীতাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হয় জন্মাষ্টমীর মূল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। যেখানে সকল জীবের মঙ্গল কামনায় পূজা-অর্চনা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন শত শত ভক্ত, পুরোহিত ও সাধারণ মানুষ। ভক্তরা জানান, জন্মাষ্টমী মানেই শুধু উৎসব নয়, এটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার প্রতীক।