ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

`বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট’

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৫ বার পড়া হয়েছে

মনির হোসেন, বেনাপোল

যশোরের রাজারহাট থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি স্বর্ণের বারসহ একটি প্রাইভেটকার ফেলে পালানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন’ বেনাপোলের একাধিক মামলার আসামি গোল্ড নাসির ও গাড়ির মালিক শফিক। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। সিআইডি পুলিশ ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।’’

অভিযুক্তরা হলেন, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামের মোবারকের ছেলে শফিক। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডি পুলিশের ঢাকার ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তদন্তে উঠে আসে রাজারহাট থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সোনা ছিলো নাসিরের। এছাড়া ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শফিক নিজে।’’

মামলা সূত্রে যানা যায়, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৫-৯৫৭৭) ঢাকা থেকে যশোরে আসছে বলে গোপন সংবাদে জানতে পারে বিজিবি। তাৎক্ষণিক খুলনা সেক্টরের অধীনস্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এবং খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) যশোরের রাজারহাট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা ধাওয়া করে। বিজিবিকে দেখে ওই প্রাইভেটকার ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা।”

পরে বিজিবি বিশেষ কায়দায় লোকানো অবস্থায় ওই গাড়ি থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করে। তৎকালীন সময়ে যার দাম ছিল আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এঘটনায় যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।”

মামলাটি তদন্তে নামে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম। তারা গাড়ির কাগজপত্র বাছাই করে মালিকের সন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহ আলম নামের একজনের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনেন শফিক।”

এরপর শফিকের নাম্বার সংগ্রহ করে কললিস্ট যাচাই বাছাই করেন। এরমাঝে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির অস্ত্র, গুলিসহ আটক হন গোল্ড নাসির। পরে নাসিরের সাথে শফিকের সম্পৃক্ততা পায় সিআইডি পুলিশ। এমনকী ঘটনার আগে তাদের দুজনের সাথে ৪৪ বার মোবাইলে কথা হয়। সেসব কললিস্ট ও অবস্থানের সার্বিক অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই সোনার চোরাচালানের সাথে জড়িত হচ্ছে নাসির ও শফিক। এ বিষয়ে শফিককে একাধিকবার নোটিশ দিলেও কর্ণপাত করেন না তিনি।’

মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সিআইডি পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।’

এদিকে, স্থানীয়রা জানান গোল্ড নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে বের হয়ে ফের অস্ত্র-সোনাসহ নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন। রাজনীতির ভোলপাল্টে তিনি এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া প্রায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েকজনের সাথে তার দহরম মহরম সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।’’

নিউজটি শেয়ার করুন

`বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট’

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মনির হোসেন, বেনাপোল

যশোরের রাজারহাট থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি স্বর্ণের বারসহ একটি প্রাইভেটকার ফেলে পালানোর ঘটনায় জড়িত ছিলেন’ বেনাপোলের একাধিক মামলার আসামি গোল্ড নাসির ও গাড়ির মালিক শফিক। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। সিআইডি পুলিশ ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।’’

অভিযুক্তরা হলেন, বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন ওরফে গোল্ড নাসির ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া গ্রামের মোবারকের ছেলে শফিক। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিআইডি পুলিশের ঢাকার ইন্সপেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তদন্তে উঠে আসে রাজারহাট থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সোনা ছিলো নাসিরের। এছাড়া ওই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন শফিক নিজে।’’

মামলা সূত্রে যানা যায়, স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৫-৯৫৭৭) ঢাকা থেকে যশোরে আসছে বলে গোপন সংবাদে জানতে পারে বিজিবি। তাৎক্ষণিক খুলনা সেক্টরের অধীনস্ত যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) এবং খুলনা ব্যাটালিয়ন (২১ বিজিবি) যশোরের রাজারহাট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির গাড়ি দেখে সন্দেহ হওয়ায় তা ধাওয়া করে। বিজিবিকে দেখে ওই প্রাইভেটকার ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা।”

পরে বিজিবি বিশেষ কায়দায় লোকানো অবস্থায় ওই গাড়ি থেকে প্রায় নয় কেজি ওজনের ৬০টি সোনার বার উদ্ধার করে। তৎকালীন সময়ে যার দাম ছিল আট কোটি ৯৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এঘটনায় যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের হাবিলদার জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।”

মামলাটি তদন্তে নামে সিআইডি পুলিশের বিশেষ টিম। তারা গাড়ির কাগজপত্র বাছাই করে মালিকের সন্ধানে নামেন। অনুসন্ধানে উঠে আসে, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শাহ আলম নামের একজনের কাছ থেকে ১৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকায় কেনেন শফিক।”

এরপর শফিকের নাম্বার সংগ্রহ করে কললিস্ট যাচাই বাছাই করেন। এরমাঝে ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নাসির অস্ত্র, গুলিসহ আটক হন গোল্ড নাসির। পরে নাসিরের সাথে শফিকের সম্পৃক্ততা পায় সিআইডি পুলিশ। এমনকী ঘটনার আগে তাদের দুজনের সাথে ৪৪ বার মোবাইলে কথা হয়। সেসব কললিস্ট ও অবস্থানের সার্বিক অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই সোনার চোরাচালানের সাথে জড়িত হচ্ছে নাসির ও শফিক। এ বিষয়ে শফিককে একাধিকবার নোটিশ দিলেও কর্ণপাত করেন না তিনি।’

মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সিআইডি পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়।’

এদিকে, স্থানীয়রা জানান গোল্ড নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। জামিনে বের হয়ে ফের অস্ত্র-সোনাসহ নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছেন। রাজনীতির ভোলপাল্টে তিনি এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া প্রায় তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসতে দেখা যাচ্ছে। এমনকী যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েকজনের সাথে তার দহরম মহরম সৃষ্টি হয়েছে। যা নিয়ে কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে নানা গুঞ্জন চলছে।’’