ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জিয়াউর রহমান এক দূরদর্শী নেতা ও দেশ গঠনের রূপকার: মোহাম্মদ মাসুদ ভালুকায় ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেফতার রোহিঙ্গা ইস্যুতে চলতি বছরই ৩টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন: প্রধান উপদেষ্টা এদেশে সবার অধিকার সমান, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ থাকবে না: সেনাপ্রধান ইসলামী জোটে নির্বাচনে অংশ নেবে খেলাফত আন্দোলন জামায়াত ও এনসিপির মতো কিছু গোষ্ঠী চায় না দেশে নির্বাচন হোক: দুলু কারচুপি প্রতিহতের প্রস্তুতি নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ত্রিশালে জমকালো আয়োজনে ক্রিকেট ফাইনাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ‘জুনিয়র টাইগার’ দুর্গাপুরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে আনন্দ র‌্যালি চাঁদাবাজদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ দেখলে রাস্তায় পিটিয়ে মারতে বললেন যুবদল নেতা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৪২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ায় রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দেখলে পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় এক যুবদল নেতা। ওই বক্তব্যের ভিডিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিও দেখা গেছে।

ওই যুবদল নেতার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানের ভাগনে। মিরপুর শহরে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে।

১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভিডিওতে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কখনো কোনো আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন। ওই…বাচ্চারা আমাদের রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। আমাদের বাজার পর্যন্ত করতে দেয়নি। এত জঘন্য রাজনীতি করে তারা।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে তিনজন একসঙ্গে বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের নামে গায়েবি ও নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলব, আপনারা দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং করবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজারে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ওই বক্তব্যের ভিডিও তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। তিনি যখন বক্তব্য দেন, তখন তাঁর সামনে দলের নেতা–কর্মীরা বসে ছিলেন। এ সময় অনেকে হাততালি দেন।

কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতা–কর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।

রফিকুল ইসলাম, মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক

ওই বক্তব্যের বিষয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১৫–১৬ বছর আমরা যে পরিমাণ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি, তা ভাষায় বলা যায় না। আমার বিরুদ্ধে ১৫–১৬টা মামলা হয়েছে। বাড়িতে ঘুমাতে দেয়নি।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসতে দেয়নি। নির্যাতনের শেষ নেই। সেই কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতা–কর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।’

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

রূপগঞ্জে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানবন্ধন

খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। আমাদের এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ দেখলে রাস্তায় পিটিয়ে মারতে বললেন যুবদল নেতা

আপডেট সময় : ০২:২২:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ায় রাস্তায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দেখলে পিটিয়ে মেরে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় এক যুবদল নেতা। ওই বক্তব্যের ভিডিও তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিও দেখা গেছে।

ওই যুবদল নেতার নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানের ভাগনে। মিরপুর শহরে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে।

১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভিডিওতে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদি কখনো কোনো আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন। ওই…বাচ্চারা আমাদের রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। আমাদের বাজার পর্যন্ত করতে দেয়নি। এত জঘন্য রাজনীতি করে তারা।’

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের কাউকে তিনজন একসঙ্গে বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমাদের নামে গায়েবি ও নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই অনেক কষ্ট করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলব, আপনারা দলের ভেতরে কোনো গ্রুপিং করবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করবেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের নিমতলা বাজারে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রফিকুল ইসলাম। ওই বক্তব্যের ভিডিও তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে। তিনি যখন বক্তব্য দেন, তখন তাঁর সামনে দলের নেতা–কর্মীরা বসে ছিলেন। এ সময় অনেকে হাততালি দেন।

কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতা–কর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।

রফিকুল ইসলাম, মিরপুর পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক

ওই বক্তব্যের বিষয়ে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ১৫–১৬ বছর আমরা যে পরিমাণ নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি, তা ভাষায় বলা যায় না। আমার বিরুদ্ধে ১৫–১৬টা মামলা হয়েছে। বাড়িতে ঘুমাতে দেয়নি।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসতে দেয়নি। নির্যাতনের শেষ নেই। সেই কষ্টের জায়গা থেকে আবেগে এ কথা (পিটিয়ে মারা) বলেছি। আবার এইটুকু না বললেও হয় না, বলতে হয়। নেতা–কর্মীদের ধরে রাখতে গেলে বলতে হয়।’

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

রূপগঞ্জে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানবন্ধন

খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘বিএনপি এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে না। আমাদের এমন কোনো নির্দেশনাও নেই।’