ঢাকা ১০:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় যুবকের ওপর হামলা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

ওয়াহিদুজ জামান, ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দুলাল কাজীর ছেলে কিবরিয়া কাজী(৩১)নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার বালিয়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার কিবরিয়া কাজী উপজেলার উত্তর বড়দিয়া গ্রামের দুলাল কাজীর ছেলে। এ ঘটনায় কিবরিয়া কাজীর মাথা সহ শরীরের নানান স্থানে এলোপাথারি লাঠি ও লোহার রড দিয়ে প্রহার কোরে মারাত্মক আহত করে। পরে গ্রামবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।পরে তার সজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, (১) সুজন ফকির (৩০), (২) রাসেল ফকির (২৫), (৩)রাকিব মোল্লা (২৮), (৪) মুন্না মাতুব্বর (২৭), (৫) মামুন কাজী (২৫), (৬) হানিফ কাজী (২৭), (৭) হাসান কাজী। এরা সবাই আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী কিবরিয়া বলেন, অভিযুক্তরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এদের প্রায় সবার নামেই একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় মাদকের এক সর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। এদের কেউ বাধা দিলেও কর্ণপাত না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার আমি আমার চাচার মাঠের জমিতে কাজ করতে গেলে সুযোগ বুঝে উল্লেখিত আসামিগণসহ প্রায় ২০থেকে ২৫ জন লাঠি সোটা ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাকে ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক আহত করে গ্রামবাসী আমাকে উদ্ধার করতে এলে আমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, আর যদি কখনো আমাদের কথা পুলিশকে বলিস তাহলে জানে মেরে ফেলবে।

উল্লেখ থাকে যে, মুন্না সম্প্রতি ৪০পিস ইয়াবা সহ ভাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। অপার আসামী মামুন কাজী ২২০০ পিস ইয়াবাসহ ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (উঘঈ)এর হাতে আটক হয়েছিল। এরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী আরো বলেন, আশে-পাশের গ্রামের কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্র-ছায়ায় এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের নামে পুলিশের কাছে তথ্য দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে অভিযুক্তরা। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই সেই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি আইশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় যুবকের ওপর হামলা

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়াহিদুজ জামান, ফরিদপুর

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দুলাল কাজীর ছেলে কিবরিয়া কাজী(৩১)নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার বালিয়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার কিবরিয়া কাজী উপজেলার উত্তর বড়দিয়া গ্রামের দুলাল কাজীর ছেলে। এ ঘটনায় কিবরিয়া কাজীর মাথা সহ শরীরের নানান স্থানে এলোপাথারি লাঠি ও লোহার রড দিয়ে প্রহার কোরে মারাত্মক আহত করে। পরে গ্রামবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।পরে তার সজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, (১) সুজন ফকির (৩০), (২) রাসেল ফকির (২৫), (৩)রাকিব মোল্লা (২৮), (৪) মুন্না মাতুব্বর (২৭), (৫) মামুন কাজী (২৫), (৬) হানিফ কাজী (২৭), (৭) হাসান কাজী। এরা সবাই আলগী ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী কিবরিয়া বলেন, অভিযুক্তরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এদের প্রায় সবার নামেই একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তারা এলাকায় মাদকের এক সর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে। এদের কেউ বাধা দিলেও কর্ণপাত না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার আমি আমার চাচার মাঠের জমিতে কাজ করতে গেলে সুযোগ বুঝে উল্লেখিত আসামিগণসহ প্রায় ২০থেকে ২৫ জন লাঠি সোটা ও লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাকে ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক আহত করে গ্রামবাসী আমাকে উদ্ধার করতে এলে আমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, আর যদি কখনো আমাদের কথা পুলিশকে বলিস তাহলে জানে মেরে ফেলবে।

উল্লেখ থাকে যে, মুন্না সম্প্রতি ৪০পিস ইয়াবা সহ ভাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। অপার আসামী মামুন কাজী ২২০০ পিস ইয়াবাসহ ফরিদপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (উঘঈ)এর হাতে আটক হয়েছিল। এরা সবাই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ভুক্তভোগী আরো বলেন, আশে-পাশের গ্রামের কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্র-ছায়ায় এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীদের নামে পুলিশের কাছে তথ্য দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে অভিযুক্তরা। আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই সেই সাথে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি আইশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।