ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে
ফুলবাড়িয়া সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কাজ না করে এডিপির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে ঠিকাদারের শাস্তির দাবিও জানানো হয়।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সামনে সাধারণ জনসাধারণের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমদাদুল হক মিলন, সাবেক ছাত্রনেতা তাইফুর রহমান কাফি, আব্দুল্লাহ, আবু রায়হান খোকা, সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মনসুর আলী মাস্টার, ফুলবাড়িয়া ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলামিন সাদাত, আজাহারুল আলম রিপন, অভিবাবক আব্দুল কাদির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের অপসারণ করে বিচারের দাবী জানানো হয়। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত ঠিকাদারের বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
সুত্র জানায়, জেলার ফুলবাড়িয়ায় এডিপি’র ৮ প্রকল্পের  ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে এবং তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং দৈনিক মানজমিন, দৈনিক প্রলয় সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ময়মনসিংহ দুদকের কর্মকর্তারা জানতে পেরে গত ২২ ডিসেম্বর ৮ প্রকল্প পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় নেয়া হয় ৮টি প্রকল্প। প্রকল্পগুলো হলো। ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয় সংস্কারে ১০ লাখ টাকা, আন্ধারিয়াপাড়া বিডিএস দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ টাকা, কাচিচ‚ড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, ছলেমননেছা এতিমখানা ও দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ টাকা, অন্বেষণ উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের রাস্তা (এইচবিবি) করণ ১০ লাখ টাকা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির জন্য ১০ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টার মেরামতে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
চলতি বছরের ১১জুন প্রসাদ এন্টারপ্রাইজ, অর্ণব এন্টারপ্রাইজ এবং উড়ালাল এন্টারপ্রাইজ এই তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ পান। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ন করে টাকা উত্তোলন করলেও করা হয়নি কোন কাজ করা হয়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রসাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ প্রসাদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ দেখায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রকৌশলীর অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
ফুলবাড়িয়া সংবাদদাতা
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় কাজ না করে এডিপির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে ঠিকাদারের শাস্তির দাবিও জানানো হয়।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সামনে সাধারণ জনসাধারণের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইমদাদুল হক মিলন, সাবেক ছাত্রনেতা তাইফুর রহমান কাফি, আব্দুল্লাহ, আবু রায়হান খোকা, সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, মনসুর আলী মাস্টার, ফুলবাড়িয়া ফুলবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলামিন সাদাত, আজাহারুল আলম রিপন, অভিবাবক আব্দুল কাদির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা দুর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামানের অপসারণ করে বিচারের দাবী জানানো হয়। এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িত ঠিকাদারের বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।
সুত্র জানায়, জেলার ফুলবাড়িয়ায় এডিপি’র ৮ প্রকল্পের  ৭৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে এবং তা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং দৈনিক মানজমিন, দৈনিক প্রলয় সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ময়মনসিংহ দুদকের কর্মকর্তারা জানতে পেরে গত ২২ ডিসেম্বর ৮ প্রকল্প পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় নেয়া হয় ৮টি প্রকল্প। প্রকল্পগুলো হলো। ইচাইল উচ্চ বিদ্যালয় সংস্কারে ১০ লাখ টাকা, আন্ধারিয়াপাড়া বিডিএস দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ টাকা, কাচিচ‚ড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, ছলেমননেছা এতিমখানা ও দাখিল মাদ্রাসা ১০ লাখ টাকা, অন্বেষণ উচ্চ বিদ্যালয় ১০ লাখ টাকা, উপজেলা পরিষদের রাস্তা (এইচবিবি) করণ ১০ লাখ টাকা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির জন্য ১০ লাখ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যানের কোয়ার্টার মেরামতে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।
চলতি বছরের ১১জুন প্রসাদ এন্টারপ্রাইজ, অর্ণব এন্টারপ্রাইজ এবং উড়ালাল এন্টারপ্রাইজ এই তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ পান। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ন করে টাকা উত্তোলন করলেও করা হয়নি কোন কাজ করা হয়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রসাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী বিশ্বজিৎ প্রসাদ বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামানের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও সেটি বন্ধ দেখায়।