ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মপুত্র নদীর ওপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৬৮ বার পড়া হয়েছে

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী

নরসিংদীর নদের পানি প্রবাহের প্রবেশপথ বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন পারাপারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী একটি কুচক্ররী মহলের লোকজনের বিরুদ্ধে। নদের দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার জোরে জলাবদ্ধতায় পাঁচ শতধিক বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রায়পুরার মাহমুদাবাদ-ইব্রাহিমপুর পুরাতন ব্রাহ্মপুত্র নদের তীরে শত শত ভুক্তভোগী কৃষক বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে।

কৃষকেরা জানান,নদের পানি প্রবাহের প্রবেশপথে রাস্তা নির্মাণ করে প্রভাবশালী কতিপয় অবৈধ ট্রাক্টর মালিক। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা প্রভাব কাটিয়ে এটি করে যাচ্ছে। তাদের এই অবৈধ কার্যক্রমের ফলে রায়পুরা এবং বেলাবো দুই উপজেলার নদীতীরবর্তী আবাদকৃত পাঁচশতাধিক বিঘা বোরো জমিতে আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নদের দশ কিলোমিটার এলাকা জোরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে সরকারি চাহিদা অনুযায়ী ধান উৎপাদন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকেরা অধিক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক চাষীরা পরেছেন বিপাকে। এমন অবৈধ কার্যক্রম থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা।

এ সময় মানববন্ধনে কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, অসাধু এক কুচু ক্রিম হল নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। দুই উপজেলার মাহমুদাবাদ নামাপাড়া, ইব্রাহিমপুর, সররাবাদ, নারায়নপুর, কাঙ্গালিয়া, জালালাবাদ, মরিচাকান্দা, দুলাল কান্দি, এলাকার কয়েক হাজার কৃষকের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন শত কোটি টাকার ধান উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ চাই।

কৃষক বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী জমি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মাটি ফেলে ব্যবসা করে আসছে। তীরের মাটি নদে এসে নদী বরাট হয়ে যায়। ফলে চয় থেকে সাত বছর যাবৎ নদীতে সঠিক পানি প্রবাহ না থাকায় প্রতিবছর ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বোরো জমি ও নদী বরাটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নদীতে অবৈধ বাদ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। ফলে আমার মত শতশত কৃষক চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কয়েকজন কৃষক জানান, এই সুযোগে ট্রাক ট্রাক্টর মালিকসহ কতিপয় ব্যবসায়ীরা বালি ইট আনানেওয়ায় রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহনে মালামাল পারাপার করছে। ফলে শাখানদীর উত্তর পশ্চিম পাশে সঠিক পানি প্রবাহ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জরিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাসহ রাস্তা উচ্ছেদ করে শাখানদী পুণখনন করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সু দৃষ্টি কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা বলেন, মানববন্ধনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনর ভূমিকে পাঠানো হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাহ্মপুত্র নদীর ওপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও পুনঃখননের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৩:৪৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী

নরসিংদীর নদের পানি প্রবাহের প্রবেশপথ বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহন পারাপারের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী একটি কুচক্ররী মহলের লোকজনের বিরুদ্ধে। নদের দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার জোরে জলাবদ্ধতায় পাঁচ শতধিক বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রায়পুরার মাহমুদাবাদ-ইব্রাহিমপুর পুরাতন ব্রাহ্মপুত্র নদের তীরে শত শত ভুক্তভোগী কৃষক বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করে।

কৃষকেরা জানান,নদের পানি প্রবাহের প্রবেশপথে রাস্তা নির্মাণ করে প্রভাবশালী কতিপয় অবৈধ ট্রাক্টর মালিক। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা প্রভাব কাটিয়ে এটি করে যাচ্ছে। তাদের এই অবৈধ কার্যক্রমের ফলে রায়পুরা এবং বেলাবো দুই উপজেলার নদীতীরবর্তী আবাদকৃত পাঁচশতাধিক বিঘা বোরো জমিতে আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নদের দশ কিলোমিটার এলাকা জোরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে সরকারি চাহিদা অনুযায়ী ধান উৎপাদন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকেরা অধিক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক চাষীরা পরেছেন বিপাকে। এমন অবৈধ কার্যক্রম থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন তারা।

এ সময় মানববন্ধনে কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, অসাধু এক কুচু ক্রিম হল নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। দুই উপজেলার মাহমুদাবাদ নামাপাড়া, ইব্রাহিমপুর, সররাবাদ, নারায়নপুর, কাঙ্গালিয়া, জালালাবাদ, মরিচাকান্দা, দুলাল কান্দি, এলাকার কয়েক হাজার কৃষকের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন শত কোটি টাকার ধান উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ চাই।

কৃষক বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী জমি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মাটি ফেলে ব্যবসা করে আসছে। তীরের মাটি নদে এসে নদী বরাট হয়ে যায়। ফলে চয় থেকে সাত বছর যাবৎ নদীতে সঠিক পানি প্রবাহ না থাকায় প্রতিবছর ওই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বোরো জমি ও নদী বরাটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নদীতে অবৈধ বাদ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে। ফলে আমার মত শতশত কৃষক চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

কয়েকজন কৃষক জানান, এই সুযোগে ট্রাক ট্রাক্টর মালিকসহ কতিপয় ব্যবসায়ীরা বালি ইট আনানেওয়ায় রাস্তা নির্মাণ করে যানবাহনে মালামাল পারাপার করছে। ফলে শাখানদীর উত্তর পশ্চিম পাশে সঠিক পানি প্রবাহ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জরিতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থাসহ রাস্তা উচ্ছেদ করে শাখানদী পুণখনন করতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সু দৃষ্টি কামনা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মাসুদ রানা বলেন, মানববন্ধনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনর ভূমিকে পাঠানো হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে পরবর্তী ব্যবস্হা নেয়া হবে।