ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৬১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরগঞ্জ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী দল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে কালিবাড়ি শৈলী কিন্ডারগার্ডেনে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি একেএম আতিকুর রাজ্জাক ভূইয়া হীরা।

ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) যুবদলের সদস্য রাকিবুল আলম রতনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আশিকুর রাজ্জাক ভূইয়া উজ্জ্বল, ময়মনসিংহ (উত্তর) জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বিপুল হাসান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। পরে দেশ ও জাতির উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, দেশের জন্য তার অবদান এবং স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরেন। দেশের মানুষের জন্য তার অবদান দেশবাসী কখনো ভুলবে না। বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল এবং তার নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধার সাথে পরিচিত ছিল।

উল্লেখ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডল বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ৮ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পক্ষে সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈশ্বরগঞ্জে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরগঞ্জ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী দল ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে কালিবাড়ি শৈলী কিন্ডারগার্ডেনে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি একেএম আতিকুর রাজ্জাক ভূইয়া হীরা।

ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) যুবদলের সদস্য রাকিবুল আলম রতনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, উপজেলা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আশিকুর রাজ্জাক ভূইয়া উজ্জ্বল, ময়মনসিংহ (উত্তর) জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বিপুল হাসান প্রমুখ। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। পরে দেশ ও জাতির উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক জীবন, দেশের জন্য তার অবদান এবং স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরেন। দেশের মানুষের জন্য তার অবদান দেশবাসী কখনো ভুলবে না। বক্তারা বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল এবং তার নির্দেশনায় বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধার সাথে পরিচিত ছিল।

উল্লেখ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মণ্ডল বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের ৮ম রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পক্ষে সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণার বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন।