ফরিদপুরে শহীদুল ইসলাম বাবুল ও শামা ওবায়েদ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫

- আপডেট সময় : ০৮:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ৭৭ বার পড়া হয়েছে
মারিয়া ইসলাম, সংবাদদাতা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফয়জুল হক মুন্সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া একই ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মোল্লার বাম হাত কেটে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো. সাঈদ মুন্সী বলেন, ‘ভাঙ্গায় দুই ধারায় বিএনপির রাজনীতি বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল ও অন্যপক্ষে শামা ওবায়েদ। আমরা শহীদুল ইসলাম বাবুল ভাইয়ের পক্ষে। সম্প্রতি, ভাঙ্গায় কৃষক দলের কর্মীসভায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও নেতা-কর্মীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন শামা ওবায়েদ এবং ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিমের সমর্থক ঘারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আনোয়ার মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক মুন্সীর লোকজন। তারই জেরে আজ এ সংঘর্ষ হয়েছে।’
ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া ৮নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সভাপতি করিম মোল্লা বলেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি মালিগ্রামে কৃষক দলের কর্মী সভায় আমরা নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সেখানে প্রতিপক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর, ইয়াদ আলী মীর গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান আমাদের লোকজন। তারই জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষক দলের কর্মী মল্লিক ফরাজী, আনসার মীর, তোতা খলিফাসহ ৭-৮ জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এর পর সকালে শরিফাবাদ বাজারে পুনরায় কৃষক দলের নেতা-কর্মীকে মারধর করেন নান্নু, ইয়াদ আলী, জাহাঙ্গীর খলিফা ও কুতুবউদ্দিন ফরাজীর লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান।
তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর ও ইয়াদ আলী মীর আগে নিক্সন চৌধুরীর কর্মী ছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারা বিএনপিতে যোগ দিয়ে এ অপকর্ম করছেন।’
এদিকে শ্যামা ওবায়েদ এর পক্ষের চান মিয়া মাতুব্বর ও ইয়াদ আলী মীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার সেলিম বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গায় অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। তারাই এ সংঘর্ষ চালাচ্ছে। সকালে খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আওয়ামী লীগের লোকজন ঘারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীর ওপরে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি ফয়জুল হক মুন্সীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মোল্লার বাম হাত কেটে নিয়েছে হামলাকারীরা। এছাড়াও কমপক্ষে ১২ নেতা-কর্মী ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা) সার্কেল মো. আসিফ ইকবাল বলেন, ‘রাত সাতটার আগ পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। তবে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।