ঢাকা ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গাজীপুরে লটারীর নামে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা : নীরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর

গাজীপুরের মহানগীর সদর থানার শিমুলতলী এলাকায় আর্মি ফার্ম ফ্যাক্টরীর মাঠে লটারীর নামে চলছে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা। স্থানীয়দের দাবি বৈষয়িকভাবে সন্তুষ্ট হয়েই নীরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন।

প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টিকেট বিক্রি হয়, এতে আয় হয় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। অধিকাংশ টিকেট ক্রেতারা হলেন, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, অটোরিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানচালক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুর এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। লটারীর নামে ক্রেতাদেরকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেখিয়ে শ্রমজীবী, ছাত্র সমাজ ও নিম্ন শ্রেণীর লোকজনের সাথে প্রতারণা করে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা পরিচালনা লাভবান হচ্ছেন লটারীর নামে জুয়ার আয়োজক ও অন্যান্য কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও রাজনৈতিক মদতদাতারা। এই জুয়ার কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীগণ। কারণ, প্রতিদিন সমগ্র এলাকায় মাইকের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ার বিঘ্নতা সৃষ্টিসহ রাত দশটার পর টিভির সামনে বসে অপেক্ষা করে লটারি প্রাপ্তির আসায়। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মাইকের উচ্চ শব্দে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এ বিষয়ে “গাজীপুরের শিমুলতলা এলাকায় মেলার নামে চলছে অবৈধ ব্যবসা” এই শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের পরও গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হলেও দৃশ্যমান কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। এমনকি ২০১১ সালের জাতীয় লটারী নীতিমালার ৬ বিধি অনুযায়ী লটারীর নামে অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রদান সম্পূর্ণ অবৈধ।

গাজীপুরে লটারীর নামে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা বন্ধের বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিজা আরেফিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি কোন তথ্য প্রদান করে নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে লটারীর নামে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা : নীরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৪:৪৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর

গাজীপুরের মহানগীর সদর থানার শিমুলতলী এলাকায় আর্মি ফার্ম ফ্যাক্টরীর মাঠে লটারীর নামে চলছে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা। স্থানীয়দের দাবি বৈষয়িকভাবে সন্তুষ্ট হয়েই নীরব ভূমিকায় স্থানীয় প্রশাসন।

প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টিকেট বিক্রি হয়, এতে আয় হয় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। অধিকাংশ টিকেট ক্রেতারা হলেন, স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, অটোরিক্সা, সিএনজি ও ভ্যানচালক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও দিনমজুর এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। লটারীর নামে ক্রেতাদেরকে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেখিয়ে শ্রমজীবী, ছাত্র সমাজ ও নিম্ন শ্রেণীর লোকজনের সাথে প্রতারণা করে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা পরিচালনা লাভবান হচ্ছেন লটারীর নামে জুয়ার আয়োজক ও অন্যান্য কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও রাজনৈতিক মদতদাতারা। এই জুয়ার কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রীগণ। কারণ, প্রতিদিন সমগ্র এলাকায় মাইকের উচ্চ শব্দে লেখাপড়ার বিঘ্নতা সৃষ্টিসহ রাত দশটার পর টিভির সামনে বসে অপেক্ষা করে লটারি প্রাপ্তির আসায়। অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মাইকের উচ্চ শব্দে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এ বিষয়ে “গাজীপুরের শিমুলতলা এলাকায় মেলার নামে চলছে অবৈধ ব্যবসা” এই শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের পরও গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হলেও দৃশ্যমান কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি। এমনকি ২০১১ সালের জাতীয় লটারী নীতিমালার ৬ বিধি অনুযায়ী লটারীর নামে অবৈধ জুয়ার ব্যবসা পরিচালনায় জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রদান সম্পূর্ণ অবৈধ।

গাজীপুরে লটারীর নামে অবৈধ জোয়ার ব্যবসা বন্ধের বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিজা আরেফিনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি কোন তথ্য প্রদান করে নি।