বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঈদের একদিনের ছুটি শেষে মেট্রোরেল চলাচল শুরু ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে পটুয়াখালী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে দোয়া ও ইফতার ভাঙ্গায় দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ ময়মনসিংহে ৫২ ঘন্টায় সাজিত হত্যাকাণ্ডের মুলহোতা মন্টি গ্রেফতার গাজীপুরে ৫ জনকে আটক করে ৩ জনকে ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ২ জনকে ননএফআইআর চরভদ্রাসনে আব্দুল করিম কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে নগদ অর্থ বিতরণ ভাঙ্গায় হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন, হৃদরোগে মৃত্যুর অভিযোগ দৈনিক প্রলয় প্রত্রিকার উদ্যোগে ময়মনসিংহে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ

মনির হোসেন, বেনাপোল

বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাজা ফল আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা ধর্মঘটে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)  বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ফল আমদানি বন্ধ থাকবে।

এদিকে বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা পড়বে। ইতিমধ্যে শুল্ককর বৃদ্ধিতে বাজারে কেজিতে ফলের দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত। আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলে আগামীতে ফলের বাজার আরও ঊর্ধ্বগতির আশঙ্কা রয়েছে। বন্দর ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যেসব খাদ্য আমদানি হয় এর মধ্যে বড় একটি অংশ রয়েছে আপেল, আঙুর, কমলা, মালটাসহ অন্যান্য তাজা ফল। আগ ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এতে প্রতি কেজি ফলে সরকারকে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ টাকা। হঠাৎ করেই গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের নতুন এক নির্দেশনায় ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে। এতে বর্তমানে কেজিতে শুল্ককর ১৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা। ফলে আমদানি খরচ বাড়ায় দাম বাড়িয়েছে খোলা বাজারে বিক্রেতারা।

রমজানের আগ মুহূর্তে ফলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করে আল্টিমেটাম দেয় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়তি শুল্ক কর তুলে না নেওয়া হলে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌ-বন্দর দিয়ে তাজা ফল আমদানি বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত রাজস্ব বোর্ড বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত না জানানোয় আমদানি কারকেরা বাধ্য হয়ে ফল আমদানি বন্ধ রাখে।

আপাতত ৫ও৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিন বন্ধ থাকবে ফল আমদানি বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে বর্ধিত শুল্ককর তুলে না নিলে পরবর্তীতে আবারও কর্মসূচি দেবে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে শুল্ককর বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে বেনাপোলে খুচরা বাজারে এক কেজি আপেল প্রকার ভেদে ৩০০-৩৬০, মালটা কেজি ৩০০-৩২০, কমলা ২৫০-৩০০ এবং আঙুর প্রকার ভেদে ৪৫০-৫০০ টাকা, ডালিম ৪৫০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফল বিক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, মোকাম থেকে বেশি দামে ফল কিনতে হওয়ায় বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বেনাপোল স্থল বন্দরে শ্রমিক ইসমাইল হোসেন বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে দিনে শতাধিক ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছে। ফল ক্রেতা আব্দুর ওয়ারেস বলেন, রমজানের আগেই দাম বৃদ্ধি, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। এ সিদ্ধান্ত নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ বেশি পড়বে।

ফল আমদানিকারক জুলফিকার আলী বলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি তারা করছেন না।

বেনাপোল বন্দর ওয়ারহাউজ সুপারেন্টেন্ড তানজিবুর রহমান জানান, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার প্রায় এক শ কোটি টাকা টাকার রাজস্ব হারাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । দৈনিক প্রলয়