আপনাদের মতামত নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

- আপডেট সময় : ১০:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১১২ বার পড়া হয়েছে
জহির রায়হান, সংবাদদাতা
তিস্তা নিয়ে করনীয় শীর্ষক গণ শুনানী রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কাউনিয়ার তিস্তা সেতু পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ গণশুনানীতে তিস্তা পাড়ের মানুষ তাদের দুঃখ-দূদর্শার কথা দুই উপদেষ্টাগণ কে জানিয়েছেন। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঈয়া। পানিসম্পদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেন চলতি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা চুড়ান্ত প্রস্তুত করা হবে।
ইতিপূর্বে চায়নার সাথে যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা চুক্তি হয়েছিল তা টেক সই হতো না তাই পরিকল্পনায় কী থাকবে কী থাকবে না এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আপনাদের মতামত নিয়ে আবারো পাওয়ার চায়না এ প্রকল্প পরিকল্পনা গ্রহন করবে। এ অঞ্চলের ৪৫ কিলোমিটার নদী ভাঙন এলাকা তার মধ্যে ২২ কিলোমিটার বেশি নদী ভাঙন প্রবণ এলাকা তাই মার্চ মাসের মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করে নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করার জন্য আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কে নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন তিস্তা কোন দেশের একক নদী না। কেউ যদি মনে করে তিস্তা কারো একক নদী তা হবে তাদের ভুল ধারনা।
তিনি বলেন কেউ যদি আমাদের বন্ধু হয় তা হলে বর্ষা কালে পানি ছাড়ার আগে কেন আমাদের জানান না। তিনি আরো বলেন অর্ন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে আপনাদের অনেক প্রত্যশা কিন্ত আমাদের কাছে তেমন অর্থ নেই তবু তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা উদ্যোগ গ্রহন করেছি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঈয়া বলেন- বিগত সরকার প্রধান বলে গেছেন আমরা যা ভারত কে দিয়েছি ভারত তা চীরকাল মনে রাখবে কিন্ত ভারত মনে রাখার মতো এদেশ কে কিছুই দেইনি। আমরা ভারত কে চাপ দিয়ে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায় করবো। তিস্তা যেন এ এলাকার মানুষের জন্য আর্শিবাদ হয়।
তিনি আরো বলেন তিস্তার চরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হবে, ফসলের ন্যায্য মূল্য যাতে কৃষকেরা পায় সে জন্য কোল্ড এ এলাকায় কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ,তিস্তা নদীতে আরো একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। উত্তরাঞ্চলে কৃষি শিল্পের বিপ্লব ঘটানো হবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন শুষ্ক মৌসুমে ভারত পানি আটকিয়ে তিস্তা মরুভূমিতে রুপান্তর করে। নদী হওয়ার কথা আর্শিবাদ সে তিস্তা নদী হয়েছে আমাদের অভিশাপ। আমরা তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবী করছি। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবী জানান তিনি। চলতি সালের ২৫ ডিসেম্বর মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একে এম তারিকুল আলম,অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি, আলহাজ্ব এমদাদুল ভরসা, একে এম মমিনুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. আতিক মোজাহিদ, আবু সাঈদ লিয়ন প্রমূখ।