আ.লীগের দোসর পুলিশ কর্মকর্তারা গাজীপুরে বহাল তবিয়তে

- আপডেট সময় : ১০:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ২১১ বার পড়া হয়েছে
আনোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
পুলিশের প্রধান কাজ হচ্ছে অপরাধ দমন, জনগণের নিরাপত্তা ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের সৃজনশীল কাজে নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করার দাবি দেশের প্রতিটি নাগরিকের। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ ও পেশাদার সংস্থায় পরিণত করতে কাজ করছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানায় কর্মরত এসআই বায়েজিদ নেওয়াজ তার ফেসবুকে একাউন্টে রাজনৈতিক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে অবগত করলেও ব্যবস্থা নিতে অনীহা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের।
জানা যায়, এসআই বায়েজিদ নেওয়াজ ৫ই আগস্টের পূর্বে জিএমপি সদর থানায় কর্মরত ছিল। উনার ফেসবুক একাউন্ট “Bayazid Newaz” এ সৈরাচার সরকারের পক্ষে ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নৌকায় ভোট চাওয়া ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাহার লিংক-https://www.facebook.com/share/p/14ta1sZ9Jc/
এই এসআই ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির ছবি প্রচার করেছেন। যার লিংক- https://www.facebook.com/share/p/18uXjbqNt7/
সরকারি কর্মচারী যা করলে শাস্তি পেতে হবে। প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল, অনেক ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর এবং সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভূক্ত অপরাধ।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের বিভিন্ন ব্যর্থয়সমূহ পরিলক্ষিত হওয়ায় রেগুলেটরী মন্ত্রণালয় হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
এক্ষণে, তাঁর অধীন (দপ্তর/সংস্থাসহ) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এর সুষ্ঠু ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদানপূর্বক এ ধরনের প্রতিটি ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯’ এবং ‘সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা, ২০১৮’ অনুসারে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এমনকি ৫ই আগস্টের পূর্বে সদর থানায় কর্মরত থাকাকালীন এই পুলিশ অফিসারসহ আরো অনেকেই জিএমপি সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফাহিম আসজাদ ও ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম রাফির নির্দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতাকে দমনে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছি। বর্তমানে ফাহিম আসজাদ জিএমপি গাছা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার পদে কর্মরত বহাল তবিয়তে রয়েছে।
এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের ঊপ-পুলিশ কমিনার নাসির উদ্দিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।