ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

আলি হায়দার, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কৃষক মনির মিয়া হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব এ রায় দেন। এ সময় আদালতে ১৩ আসামির ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিহতের আত্মীয়স্বজন।

কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় যাদের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের সবার সাজা হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মজিবুর রহমান মীর (৬৫), হাবিবুর রহমান (৬৩), মুখলেছ (৩২), শামীম (৪০), আরিফ (৩১), রানা (২৫), আমিনুল (৩৭), আব্দুর রাশিদ (৫৫), ফাইজুল (৫০), মনির (২৯), শাহীন (৪০), হাদিস (৫০) ও কামরুল (২৯)। ১৩ আসামির মধ্যে কামরুল পলাতক ।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া-মীরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মনির মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার চাচাতোভাই ও অন্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যো প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো।

২০২০ সালের ১০ এপ্রিল বিকালে সীমানা নির্ধারণের জন্য বাদী জমিতে গেলে আসামিদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় আসামিরা বাদীকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বাদীর বড় ভাই মনির মিয়া বাড়িতে আসার পথে আসামিরা তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আসামিরা মনির মিয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে বাদী আইন উদ্দিনসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদের ওপরও হামলা চালিয়ে জখম করে।

স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে মনির মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মনির ভাটিয়া-মীরপাড়া গ্রামের মৃত মো. গনি মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় মনিরের ছোটভাই আইন উদ্দিন ১২ এপ্রিল রাতে আসামি হিসেবে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার ওসি-তদন্ত নাহিদ হাসান সুমন একমাত্র নারী আসামি লুৎফাকে বাদ দিয়ে বাকি ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষক হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আলি হায়দার, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কৃষক মনির মিয়া হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নূরুল আমিন বিপ্লব এ রায় দেন। এ সময় আদালতে ১৩ আসামির ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই নিহতের আত্মীয়স্বজন।

কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলায় যাদের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাদের সবার সাজা হয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মজিবুর রহমান মীর (৬৫), হাবিবুর রহমান (৬৩), মুখলেছ (৩২), শামীম (৪০), আরিফ (৩১), রানা (২৫), আমিনুল (৩৭), আব্দুর রাশিদ (৫৫), ফাইজুল (৫০), মনির (২৯), শাহীন (৪০), হাদিস (৫০) ও কামরুল (২৯)। ১৩ আসামির মধ্যে কামরুল পলাতক ।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া-মীরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মনির মিয়ার সঙ্গে জমিজমা নিয়ে তার চাচাতোভাই ও অন্য আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যো প্রায়ই ঝগড়াঝাটি হতো।

২০২০ সালের ১০ এপ্রিল বিকালে সীমানা নির্ধারণের জন্য বাদী জমিতে গেলে আসামিদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। এ সময় আসামিরা বাদীকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বাদীর বড় ভাই মনির মিয়া বাড়িতে আসার পথে আসামিরা তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আসামিরা মনির মিয়াকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তার ডাক চিৎকারে বাদী আইন উদ্দিনসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে আসামিরা তাদের ওপরও হামলা চালিয়ে জখম করে।

স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে মনির মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। নিহত মনির ভাটিয়া-মীরপাড়া গ্রামের মৃত মো. গনি মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় মনিরের ছোটভাই আইন উদ্দিন ১২ এপ্রিল রাতে আসামি হিসেবে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার ওসি-তদন্ত নাহিদ হাসান সুমন একমাত্র নারী আসামি লুৎফাকে বাদ দিয়ে বাকি ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।