অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি ভাঙচুর

- আপডেট সময় : ০৪:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
- / ৯৩ বার পড়া হয়েছে
এফ এম সিফাত হাসান, শেরপুর
শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি ভাঙচুরের মত ঘটনা ঘটেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করায় এর প্রতিবাদে ঝিনাইগাতী-শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছে ভাটা শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্বর মোড়ে ওই অবরোধের ঘটনা ঘটে। ওইসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান শুরু করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেশ কয়েকদিন থেকে শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বের হয়।
এ খবর পেয়ে শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্বর মোড় এলাকায় ঝিনাইগাতী-শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন ভাটা শ্রমিকরা। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করেন তারা। পরে একটি বড় মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ায় পুলিশের অনুরোধে মানববন্ধন স্থগিত ঘোষণা করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিজানুর রহমান ভূঁঞা। পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে শেরপুর সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর এহসান, শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম, জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ হারুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে শেরপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে শ্রমিকরা সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে। যারা এ কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।