পটুয়াখালীতে ভেকু দিয়ে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে পুকুর খনন

- আপডেট সময় : ১২:১৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
- / ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নে তেলিখালী গ্রামে একাধিক এজাহার ভুক্ত মামলার আসামি নাসির মৃধার নির্যাতনে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ৫ই আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতন হলেও এলাকায় কমেনি অবৈধ টাকার ঝনঝনানি ও সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন। নাসির মৃধা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ১৬ বছর সাধারণ মানুষের জমিসহ খাল ভরাট করে পাঁকা ভবন এবং সরকারি খাসজমি ভোগ দখল করে আসছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। সরজমিন গেলে জনা যায়, তেলিখালী গ্রামের মোল্লাবাড়ি কালাম মোল্লা (৬০)সালাম মোল্লা (৫৭) মৃত ইসমাইল মোল্লার আবাদী ফসলী জমি সম্পূর্ণ নিজের পেশি শক্তি দ্বারা ভেকু দিয়ে পুকুর ও ঘের খনন করেন, এসময় ভুক্তভোগী এবং এলাকার স্থানীয় মানুষ বাঁধা দিলে কোন রকম কর্ণপাত করেনি অভিযুক্ত নাসির মৃধা। পরে কুল-কিনারাহীণ হয়ে ছুটে আসেন পটুয়াখালী সদর থানায় এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পটুয়াখালী সদর থানার এস আই রাসেল হাওলাদার। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে এস আই রাসেল হাওলাদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সংবাদকর্মীরা ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা জানান, নাসির মৃধা ও তার বড় ছেলে এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং স্থানীয় খাল ভরাট করে পাঁকা ভবন, রাইস-মিল সহ বিভিন্ন দোকান করে হতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। তার বড় ছেলে শাহীন মৃধা ইয়াবা সেবন ও ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত। বিগত দিন শাহীন মৃধা ইয়াবা সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বলে জনান, উপস্থিত স্থানীয় সাধারণ ও ভুক্তভোগীরা।
সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত নাসির মৃধা বলেন, আমার নিজ জমিতে আমি মাটি খনন করেছি, যদি কারো জমি আমি খনন করে থাকি তাহলে কাগজ পত্র নিয়ে বসলে সব বেড় হয়ে যাবে এবং যদি কারও জমি আমি নিয়ে থাকি বা খনন করে থাকি তাহলে তা ভারট করে দিবেন বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। তবে স্থানীয় বাজারে অবৈধভাবে জমি দখল এবং খাল ভরাটের বিষয় তিনি কোন কথা বলেন নি।
অভিযুক্ত নাসির মৃধা পটুয়াখালী সদর থানার এস আই রাসেল হাওলাদারকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর আমি ভুক্তভোগীসহ আপনাদের সাথে বসব। কিন্তু নাসির মৃধা নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হন নি এবং মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।