ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

গাজীপুরে পুলিশের এক এএসআই এর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা

বিধিবহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার সাবেক জুনিয়র সেরেস্তাদার এএসআই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সদর জোনের আওতাধীন সাবেক এই জুনিয়র সেরেস্তাদার আনুমানিক ০৫ (পাঁচ) বছর যাবত সদর থানা কর্মরত ছিল। এএসআই (নিরস্ত্র)/ সাইদুর রহমান জনৈক প্রফেসর এমদাদের নিকট থেকে বাসন থানার বাড়িয়ালী মৌজায় কোটি টাকার সম্পত্তি খরিদ করেছেন।

এছাড়া গত ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারী সিআর-৫৭/২০২৫ নং মামলার ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ২৫ নং ওয়ার্ডের ভুরুলিয়া এলাকার আসমতের ছেলে আলমগীরকে গ্রেফতার করতে এএসআই সাইদুর সদর থানার পরিচ্ছন্নকর্মী ডালিমকে সঙ্গীয় হিসেবে নিয়ে গেলে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না থাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয় এবং আসামী আটক হওয়ার পরও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না থাকার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে আসামী সহজেই পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ আসামী আলমগীর ভয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, আসামী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ঘোচর হইলে পূর্বের বদলীকৃত আদেশের প্রেক্ষিতে তাকে তাৎক্ষনিক বদলীর কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) প্রদান করা হয়। কিন্তু এএসআই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ধরণের বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি জমি খরিদ করা সংক্রান্তে পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩ এর ১১২ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমতি নেয় নি।

এএসআই সাইদুর সাদা পোশাকে পরিচ্ছন্নকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসামী গ্রেফতার সংক্রান্তে ড্রেস রুলস্, ২০০৪ সহ অন্যান্য আইন ও বিধি অনুসরণ করে অভিযান পরিচালনা না করায় এই সংক্রান্তে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি মূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বদলী সুত্রে পুলিশের এই এএসআই টঙ্গী পশ্চিম থানায় অলৌকিক ক্ষমতায় জুনিয়র সেরেস্তার দায়িত্ব পেয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সদর বর্তমান টঙ্গী পশ্চিম থানার এএসআই সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জমি খরিদ করার বিষয়ে স্বীকার করলে ব্যস্ত আছে পরে দেখা করার কথা বলে কৌশলে তথ্য প্রদান না করে এড়িয়ে যায়।

এ অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে জিএমপির অপরাধ উত্তর বিভাগের এডিসি রবিউলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি।

 

প্রলয়/মোমিন তালুকদার

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজীপুরে পুলিশের এক এএসআই এর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:০৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা

বিধিবহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানার সাবেক জুনিয়র সেরেস্তাদার এএসআই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, সদর জোনের আওতাধীন সাবেক এই জুনিয়র সেরেস্তাদার আনুমানিক ০৫ (পাঁচ) বছর যাবত সদর থানা কর্মরত ছিল। এএসআই (নিরস্ত্র)/ সাইদুর রহমান জনৈক প্রফেসর এমদাদের নিকট থেকে বাসন থানার বাড়িয়ালী মৌজায় কোটি টাকার সম্পত্তি খরিদ করেছেন।

এছাড়া গত ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারী সিআর-৫৭/২০২৫ নং মামলার ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামী ২৫ নং ওয়ার্ডের ভুরুলিয়া এলাকার আসমতের ছেলে আলমগীরকে গ্রেফতার করতে এএসআই সাইদুর সদর থানার পরিচ্ছন্নকর্মী ডালিমকে সঙ্গীয় হিসেবে নিয়ে গেলে পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না থাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয় এবং আসামী আটক হওয়ার পরও পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স না থাকার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে আসামী সহজেই পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঐ আসামী আলমগীর ভয়ে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে।

পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, আসামী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ঘোচর হইলে পূর্বের বদলীকৃত আদেশের প্রেক্ষিতে তাকে তাৎক্ষনিক বদলীর কমান্ড সার্টিফিকেট (সিসি) প্রদান করা হয়। কিন্তু এএসআই সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ধরণের বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই। এমনকি জমি খরিদ করা সংক্রান্তে পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি), ১৯৪৩ এর ১১২ ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে অনুমতি নেয় নি।

এএসআই সাইদুর সাদা পোশাকে পরিচ্ছন্নকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে আসামী গ্রেফতার সংক্রান্তে ড্রেস রুলস্, ২০০৪ সহ অন্যান্য আইন ও বিধি অনুসরণ করে অভিযান পরিচালনা না করায় এই সংক্রান্তে তাহার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তি মূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণে অনীহা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বদলী সুত্রে পুলিশের এই এএসআই টঙ্গী পশ্চিম থানায় অলৌকিক ক্ষমতায় জুনিয়র সেরেস্তার দায়িত্ব পেয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক সদর বর্তমান টঙ্গী পশ্চিম থানার এএসআই সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে উনি জমি খরিদ করার বিষয়ে স্বীকার করলে ব্যস্ত আছে পরে দেখা করার কথা বলে কৌশলে তথ্য প্রদান না করে এড়িয়ে যায়।

এ অভিযোগে বিভাগীয় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জানতে জিএমপির অপরাধ উত্তর বিভাগের এডিসি রবিউলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও উনি ফোন রিসিভ করে নি।

 

প্রলয়/মোমিন তালুকদার