ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরগুনায় শিক্ষা অফিসারের অপকর্ম আড়াল করতে নাম সর্বস্ব ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের মানববন্ধন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

আমতলী সংবাদদাতা

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ ঘোষনার পরপরই আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ আমতলী ও তালতলীর দুই উপজেলার নাম সর্বস্ব ১১৯ টি মাদ্রাসা তালিকা প্রেরন করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের এমন অপকর্ম আড়াল করতে নাম সর্বস্ব স্বতন্ত্র ইতবেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক দিয়ে তিনি মানববন্ধন করিয়েছেন।

মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আলা উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারী অর্ন্তবতী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষনা দিলে উৎসবে মেতে উঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা মাদ্রাসা জাতীয়করণের নামে প্রত্যেক মাদ্রাসা প্রতি ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ওই দালাল চক্রকে সহায়তা করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার টাকার বিনিময়ে আমতলীর ৭৬ টি এবং তালতলীর ৪৩ টি নাম সর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা করেছেন। ওই তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ কোন মাদ্রাসা সরেজমিনে পরিদর্শন ও যাচাই বাছাই করেননি। দালালদের দেয়া নাম সর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা করে তিনি বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন। আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অধিকাংশ মাদ্রাসারই কোন অতিত্ব নেই। কাগজে কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিন আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত পাঁচটি মাদ্রাসাই ক্লাস হয়না। বাকীগুলো মাদ্রাসায় অবস্থাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আরো বলেন, সময় স্বল্পতার কারনে শিক্ষা অফিসার সরেজিমতে তদন্ত করতে পারেনি। তদন্ত না করেই তিনি তালিকা করেছেন।

আমতলী ও তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ বলেন, মানববন্ধনের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শিক্ষকরাই মানববন্ধন করেছেন। নাম সর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরগুনায় শিক্ষা অফিসারের অপকর্ম আড়াল করতে নাম সর্বস্ব ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৫:১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

আমতলী সংবাদদাতা

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার জাতীয়করণ ঘোষনার পরপরই আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ আমতলী ও তালতলীর দুই উপজেলার নাম সর্বস্ব ১১৯ টি মাদ্রাসা তালিকা প্রেরন করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের এমন অপকর্ম আড়াল করতে নাম সর্বস্ব স্বতন্ত্র ইতবেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক দিয়ে তিনি মানববন্ধন করিয়েছেন।

মঙ্গলবার ( ১৮ মার্চ) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মধ্য পাতাকাটা আমানদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আলা উদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন করা হয়। গত ২৮ জানুয়ারী অর্ন্তবতী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষনা দিলে উৎসবে মেতে উঠে আমতলী-তালতলীর একাধিক দালাল চক্র। তারা মাদ্রাসা জাতীয়করণের নামে প্রত্যেক মাদ্রাসা প্রতি ১০ লাখ টাকা থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ওই দালাল চক্রকে সহায়তা করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার টাকার বিনিময়ে আমতলীর ৭৬ টি এবং তালতলীর ৪৩ টি নাম সর্বস্ব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা করেছেন। ওই তালিকা বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।

খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ কোন মাদ্রাসা সরেজমিনে পরিদর্শন ও যাচাই বাছাই করেননি। দালালদের দেয়া নাম সর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা করে তিনি বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ঢাকা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন। আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অধিকাংশ মাদ্রাসারই কোন অতিত্ব নেই। কাগজে কলমে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছিন আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমতলী উপজেলার অনুদানভুক্ত পাঁচটি মাদ্রাসাই ক্লাস হয়না। বাকীগুলো মাদ্রাসায় অবস্থাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আরো বলেন, সময় স্বল্পতার কারনে শিক্ষা অফিসার সরেজিমতে তদন্ত করতে পারেনি। তদন্ত না করেই তিনি তালিকা করেছেন।

আমতলী ও তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ অলি আহাদ বলেন, মানববন্ধনের সঙ্গে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শিক্ষকরাই মানববন্ধন করেছেন। নাম সর্বস্ব মাদ্রাসার তালিকা প্রেরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।