ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য উপযোগী নয়: রিজভী

বরগুনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সামনেই হাতাহাতি

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রোগ্রামে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃহত্তর বরিশাল জোনের বিভাগীয় ছাত্র জনতা মৈত্রী সফরের অংশ হিসেবে বরগুনার শিল্পকলা একাডেমীতে উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয়কে ছাত্রলীগের দোসর আখ্যায়িত করে রেজাউল করিমের গ্রুপের ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে স্থগিত হয়ে যায় মতবিনিময় সভা। পরে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত করেন।

রাজিব নামের শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্রলীগের দোসররা যখন বুঝতে পারছিল স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে, তখন তারা শেল্টারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। তারা ৫ তারিখের পরে বিভিন্ন অন্যায়মূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। আর এর দায়ভার আসছে ছাত্র আন্দোলনের ওপর।

আরিফ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী মীর নীলয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ের দাবি করে চক্রান্ত চালিয়ে ৫ আগস্টের প্রোগ্রামটি বরগুনায় হতে দেয়নি।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, এখানে দুটো গ্রুপের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করতেছি এদের সমস্যাগুলো সমাধান করার।

বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিয়া বলেন, এখানে একাধিক গ্রুপ উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এর মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছিল। আমরা এসে পরিবেশ শান্ত করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরগুনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সামনেই হাতাহাতি

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রোগ্রামে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৃহত্তর বরিশাল জোনের বিভাগীয় ছাত্র জনতা মৈত্রী সফরের অংশ হিসেবে বরগুনার শিল্পকলা একাডেমীতে উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

মতবিনিময় সভার এক পর্যায়ে বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করা মীর নিলয়কে ছাত্রলীগের দোসর আখ্যায়িত করে রেজাউল করিমের গ্রুপের ছাত্ররা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে স্থগিত হয়ে যায় মতবিনিময় সভা। পরে পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত করেন।

রাজিব নামের শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলন চলাকালীন সময় ছাত্রলীগের দোসররা যখন বুঝতে পারছিল স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে, তখন তারা শেল্টারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। তারা ৫ তারিখের পরে বিভিন্ন অন্যায়মূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। আর এর দায়ভার আসছে ছাত্র আন্দোলনের ওপর।

আরিফ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী মীর নীলয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ের দাবি করে চক্রান্ত চালিয়ে ৫ আগস্টের প্রোগ্রামটি বরগুনায় হতে দেয়নি।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, এখানে দুটো গ্রুপের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করতেছি এদের সমস্যাগুলো সমাধান করার।

বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম মিয়া বলেন, এখানে একাধিক গ্রুপ উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এর মধ্যে বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছিল। আমরা এসে পরিবেশ শান্ত করেছি।