ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরু আনতে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, চার ব্যবসায়ী আটক

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৮২ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় সংবাদদাতা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ভারতে গরু আনতে যাওয়ার চেষ্টায় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন চার বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় পাসপোর্ট ও কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

পরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানকাটা নামক স্থানের মেইন পিলার ৪৩৭/৪এস-এর কাছে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবির ১৮ ব্যাটালিয়নের শারিয়ালজোত বিওপি ক্যাম্পের টহল দল।

আটককৃতরা হলেন, মো. জামাল হোসেন (৫০), মো. ফরিদ (২৮), মো. ইউসুফ আলী (৩২) ও জুয়েল রানা (৩০)। এদের মধ্যে কানকাটা গ্রামের জামাল হোসেন মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, ফরিদ আব্দুর রহিমের ছেলে, ইউসুফ আলী আজিজনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ও একই গ্রামের জুয়েল রানা আব্দুল করিমের ছেলে।

এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়মিত রাত্রিকালীন টহলের উদ্দেশে বের হয় বিজিবির টহল দল। রাত ৩টার দিকে মেইন পিলার ৪৩৭/৪এস হতে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কানকাটা নামক স্থানে অবস্থানকালে দক্ষিণ দিকের ভারতীয় সীমানা এলাকা হতে গুলির শব্দ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গীয় দল ভারতীয় সীমানার জিরোলাইনে রওয়ানা হয়।

পরে সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩৭/৫এস হতে ১০ গজ দূরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেরং নদী-সংলগ্ন কানকাটা নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই দেখা যায়, ভারতীয় সীমানা হতে দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে ১৩/১৪ জন ব্যক্তি। তখন বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের পিছু ধাওয়া করে চারজনকে আটক করা সম্ভব হয়। আর ৯/১০ ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যান। তাদের ধরতে ধাওয়া করলেও সম্ভব হয়নি। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন।

ভারতীয় সীমানার কাঁটাতারের বেড়ার দিক হতে দৌড়ে বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, তারা ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া কেটে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলির শব্দ শুনে তারা দৌড়ে পালিয়ে আসে।

আটকের সময় টর্চ লাইটের আলো ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী সার্চ লাইটের আলোতে তল্লাশি করে আটককৃতদের মধ্যে জামাল হোসেনের কাছ থেকে একটি তার কাটার হাইড্রলিক কাটার, ছোট চাকু, ইউসুফ আলীর নিকট থেকে একটি লাল রঙের কাঁটাতার কাটিং প্লাস ও জুয়েল রানার কাছ থেকে একটি হলুদ রঙের কাঁটাতার কাটিং প্লাস জব্দ করা হয়।

পরে আটককৃতদের বাংলাদেশ হতে পাসপোর্ট ও কোনো বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ১১(১)(ক) ধারার অপরাধে থানায় মামলা করা হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান আলী বলেন, ভারতে কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিজিবি চারজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিজিবি বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

গরু আনতে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, চার ব্যবসায়ী আটক

আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড় সংবাদদাতা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে সীমান্তের কাঁটাতার কেটে ভারতে গরু আনতে যাওয়ার চেষ্টায় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন চার বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় পাসপোর্ট ও কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

পরে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানকাটা নামক স্থানের মেইন পিলার ৪৩৭/৪এস-এর কাছে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবির ১৮ ব্যাটালিয়নের শারিয়ালজোত বিওপি ক্যাম্পের টহল দল।

আটককৃতরা হলেন, মো. জামাল হোসেন (৫০), মো. ফরিদ (২৮), মো. ইউসুফ আলী (৩২) ও জুয়েল রানা (৩০)। এদের মধ্যে কানকাটা গ্রামের জামাল হোসেন মৃত আবুল হোসেনের ছেলে, ফরিদ আব্দুর রহিমের ছেলে, ইউসুফ আলী আজিজনগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ও একই গ্রামের জুয়েল রানা আব্দুল করিমের ছেলে।

এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিয়মিত রাত্রিকালীন টহলের উদ্দেশে বের হয় বিজিবির টহল দল। রাত ৩টার দিকে মেইন পিলার ৪৩৭/৪এস হতে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কানকাটা নামক স্থানে অবস্থানকালে দক্ষিণ দিকের ভারতীয় সীমানা এলাকা হতে গুলির শব্দ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে সঙ্গীয় দল ভারতীয় সীমানার জিরোলাইনে রওয়ানা হয়।

পরে সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩৭/৫এস হতে ১০ গজ দূরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেরং নদী-সংলগ্ন কানকাটা নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই দেখা যায়, ভারতীয় সীমানা হতে দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে ১৩/১৪ জন ব্যক্তি। তখন বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের পিছু ধাওয়া করে চারজনকে আটক করা সম্ভব হয়। আর ৯/১০ ব্যক্তি কৌশলে দৌড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যান। তাদের ধরতে ধাওয়া করলেও সম্ভব হয়নি। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন।

ভারতীয় সীমানার কাঁটাতারের বেড়ার দিক হতে দৌড়ে বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়, তারা ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া কেটে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলির শব্দ শুনে তারা দৌড়ে পালিয়ে আসে।

আটকের সময় টর্চ লাইটের আলো ও ভারতীয় সীমান্তবর্তী সার্চ লাইটের আলোতে তল্লাশি করে আটককৃতদের মধ্যে জামাল হোসেনের কাছ থেকে একটি তার কাটার হাইড্রলিক কাটার, ছোট চাকু, ইউসুফ আলীর নিকট থেকে একটি লাল রঙের কাঁটাতার কাটিং প্লাস ও জুয়েল রানার কাছ থেকে একটি হলুদ রঙের কাঁটাতার কাটিং প্লাস জব্দ করা হয়।

পরে আটককৃতদের বাংলাদেশ হতে পাসপোর্ট ও কোনো বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩-এর ১১(১)(ক) ধারার অপরাধে থানায় মামলা করা হয়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান আলী বলেন, ভারতে কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারতে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিজিবি চারজনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে বিজিবি বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।