ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এবারের বাজেট শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। তার মানে এটা কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হবে না। এমন ব্যয় থাকবে না যেটা সাময়িকভাবে মনে হবে জনতুষ্টির, আসলে পরে দায় গিয়ে পড়ে পরবর্তী বাজেটের ওপর।

রোববার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনইসি সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ে নির্ধারণ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার টাকা এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে এ সভায়।

প্রধান উপদেষ্টা ও এনইসির চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রোববার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এবারের উন্নয়ন বাজেটে দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না। তবে মাতারবাড়ির মতো দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প এখানে রয়েছে। তাছাড়া উচ্চসুদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ এ বাজেটে নেয়া হচ্ছে না। এ বাজেটে কষ্ট করে হলেও উন্নয়ন সহযোগীদের আগের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিয়মানুবর্তিতা ও ঘাটতি কমিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে গত বাজেটের সঙ্গে এবারের বাজেট তুলনা করা ঠিক হবে না। আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট করার চেষ্টা করছি।

এবারের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের তুলনায় নতুন এডিপির আকার বড় উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট বড়। শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ হলেও স্বাস্থ্য খাতে কম বরাদ্দ রয়েছে।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরেও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জিডিপি-এর প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্পে এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন প্রকল্পসমূহে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকদের অবসরভাতা, অন্য ভাতাগুলো বাকি পড়ে আছে, স্বাস্থ্য খাতেও পরিচালন ব্যয়ে অধিকাংশ টাকা চলে যাবে। পুরো বাজেটের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের সেভাবেই দেখা যাবে এবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন হবে না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, এবারের বাজেট শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের বাজেট। তার মানে এটা কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট হবে না। এমন ব্যয় থাকবে না যেটা সাময়িকভাবে মনে হবে জনতুষ্টির, আসলে পরে দায় গিয়ে পড়ে পরবর্তী বাজেটের ওপর।

রোববার পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনইসি সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ে নির্ধারণ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ৮ হাজার ৫৯৯ কোটি ৭১ লাখ টাকার টাকা এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে এ সভায়।

প্রধান উপদেষ্টা ও এনইসির চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রোববার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এবারের উন্নয়ন বাজেটে দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে না। তবে মাতারবাড়ির মতো দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প এখানে রয়েছে। তাছাড়া উচ্চসুদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ এ বাজেটে নেয়া হচ্ছে না। এ বাজেটে কষ্ট করে হলেও উন্নয়ন সহযোগীদের আগের পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নিয়মানুবর্তিতা ও ঘাটতি কমিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে গত বাজেটের সঙ্গে এবারের বাজেট তুলনা করা ঠিক হবে না। আমরা বাস্তবসম্মত বাজেট করার চেষ্টা করছি।

এবারের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেটের তুলনায় নতুন এডিপির আকার বড় উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত উন্নয়ন বাজেট বড়। শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ হলেও স্বাস্থ্য খাতে কম বরাদ্দ রয়েছে।

অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরেও দেশের সম্পদ, বৈদেশিক অর্থায়ন ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা নিয়ে ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের এডিপি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, জিডিপি-এর প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও ক্ষয়ক্ষতি পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রকল্পে এবং মানব সম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন প্রকল্পসমূহে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষকদের অবসরভাতা, অন্য ভাতাগুলো বাকি পড়ে আছে, স্বাস্থ্য খাতেও পরিচালন ব্যয়ে অধিকাংশ টাকা চলে যাবে। পুরো বাজেটের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের সেভাবেই দেখা যাবে এবার।