ফরিদপুরে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী

- আপডেট সময় : ০৭:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
- / ২২৪ বার পড়া হয়েছে
জিল্লুর রহমান রাসেল, ফরিদপুর
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর মানাইর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন। ১৩ জুন সকাল ১১টায় চর মানাইর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন কবলিত দক্ষিন চর চান্দ্রা ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ফরিদপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি ও ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা ও স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
নদী তীরের বাসিন্দা জানান, কয়েকদফা ভাঙনে আমরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছি। যা বাকী আছে তা নিয়েই পরিবার পরিজন নিয়ে খাইয়া পইড়া বাইচা আছি। এটুকও যদি ভাইঙ্গা যায় তাইলেতো পথে বইসা যামু। না খাইয়া থাকা লাগবে। আমাগো আপনারা বাঁচান।
পরিদর্শন শেষে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন বলেন, আমরা আজ সদরপুর উপজেলার চর মানাইর ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পুর্বেও এই এলাকা পরিদর্শন করে ঝুকিপুর্ন ৩২৫ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ দিয়ে পাড় রক্ষার কাজ চলমান। যে এলাকায় নতুন করে ভাঙনের ঝুকি তৈরী হয়েছে সে অংশ মাপঝোপ করে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করবো। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করতে পারবো। আশা করছি ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদের কয়েকদফা ভাঙনে এ অঞ্চলের ফসলি জমি ও ভিটাবাড়ীসহ ২ হাজার বিঘার উপরে জমিজমা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের যে তীব্রতা, আগামী বর্ষাকাল আসার আগেই যদি ভাঙন রক্ষার ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে যে সকল বাড়িঘর রয়েছে সব বিলীন হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা রয়েছে। এই এলাকায় এ সকল প্রতিষ্ঠান থেকেই শিক্ষার আলো ছড়ায়। এগুলো যদি দ্রুত রক্ষা করতে না পারি, তাহলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যদি এবার ভাঙন শুরু হয় তাহলে রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে কিংবা অন্যের ভিটায় ঠাঁই নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে ভাঙন কবলিত মানুষদের। পানি বাড়ার সাথে সাথে নির্ঘুম রাত কাটতে শুরু করে নদী তীরবর্তী বাড়ির বাসিন্দাদের। কখন যে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায় তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। ভিটেমাটি হারানো তাদের প্রতিবছরের দুঃখ গাঁথা। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া সারা বছর কম-বেশি ভাঙতে থাকে নদী।