গাজীপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে আওয়ামী লীগের দোসর ফারুক বহাল তবিয়তে

- আপডেট সময় : ০৬:৩৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ১৫৭ বার পড়া হয়েছে
মোঃ আনোয়ার হোসেন, নিজস্ব সংবাদদাতা
অলৌকিক ক্ষমতাবলে নরসিংদী জেলার আওয়ামী লীগের দোসর ফারুক আহম্মেদ গাজীপুরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই অফিসের সকল কার্যক্রম তার নিয়ন্ত্রণে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ফারুক জানান, গত ২০১৪ সাল থেকে উনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক অফিসে কর্মরত আছে, তবে উক্ত অফিস থেকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলায় বদলী করা হলেও সে সংযুক্তিতে গাজীপুর জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসেই রয়ে যায় এবং কাজ করতে থাকে।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী দুঃসাশনের অবসান হলেও ফারুক গাজীপুরেই রয়ে যায়। যদিও গত ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তাকে গাজীপুরের এ অফিস থেকে নরসিংদীতে শুন্যপদে হিসাবরক্ষক পদে বদলী করা হয়। কিন্তু ১৯ দিন পর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ঢাকা দপ্তরের ১৩.০১.০০০০.০০০.১৯.০০২.২৪.৩৬৬ নং স্বারকের প্রজ্ঞাপনে, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, নরসিংদী এর গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ১১২ নং স্বারকের ছাড়পত্র মোতাবেক গত ২৫ ফেব্রুয়ারী জেলা গাজীপুরে আবারও সংযুক্তিতে যোগদান করে। জানা যায়, ফারুকের এক চাচা নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন একজন আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা এবং নরসিংদী ৪ আসনের এমপি ও শিল্প মন্ত্রী থাকার কারণে এই অফিস তার মন মত পরিচালনা করা হতো। দীর্ঘ ১১ বৎসর সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে গাজীপুরে কর্মরত রয়েছে। তন্মধ্যে প্রথমে হিসাব রক্ষক পদে না থাকিলেও, সে হিসাবরক্ষক চেয়ার, টেবিল ও অফিস কক্ষ ব্যবহার করেছেন এবং গাজীপুরের ডিসি ফুড শফি আফজালুল আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে অসদাচরণ করেছেন। এ সকল অসদাচরণের কারণে আচরণবিধি সরকারী শৃংখলা আপিল বিধিমালা ২০১৮ মোতাবেক ৩০ নং ধারায় উল্লেখ আছে যে, যদি কেহ আচরণবিধি ভঙ্গ বা লঙ্গন করে বা শৃংখলা পরিপন্থী কাজ করে, তাহলে ধারা ৩২ এর উপধারা খ এর (ঈ) মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি চাকুরী থেকে বহিস্কার উল্লেখ আছে।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস, গাজীপুরের ডিসি ফুড শফি আফজালুল আলম ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের আরসিএফ সুরাইয়া খাতুন কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই তাকে সংযুক্তিতে গাজীপুরেরই রাখেন। বিষয়টি উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে এনে ফারুক এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় সরকারি চাকুরীবিধি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি স্থানীয়দের।