ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি সংস্কার মানে কিন্তু কুসংস্কার মানবেনা: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

বনিআমিন, কেরানীগঞ্জ

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি সংস্কার মানে কিন্তু কুসংস্কার মানবে না। সংস্কারের নামে কোন কুসংস্কার করা হয় আর এতে যদি জনগণের অধিকার ভুলন্ঠিত হয় তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কতটি রাজনৈতিক দল আছে তা নির্বাচন কমিশনারও জানে না, দেশের জনগণও জানেনা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আওয়ামী লীগসহ দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা সবাই মিলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেন আর বিএনপি এককভাবে ৩০০ আসনের প্রার্থী দেবে। নির্বাচনে আপনাদের কয়টি আসন ভাগ্যে জোটে দেখেন কিন্তু কথা বলেন বড় বড়।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেন বিএনপি ১৭ বছরে কিছুই করে নাই। বিএনপি’র কোন সামর্থ্য নাই। আবার দু একটি রাজনৈতিক দল বলছে একদলকে তাড়িয়ে আর একদলকে ক্ষমতায় আনা হবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলছি গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা যত হামলা নির্যাতন জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তা অন্য কোন দলের নেতাকর্মীরা হয় নাই। ৬২ সাল থেকে আন্দোলনে আছি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন তাদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। কেন তারা এখন বৈষম্য করছেন।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে চুনকোটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্রুত সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন
তিনি আরো বলেন, সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করল। আর এই দেশের একক দাবিদার হলো শেখ মুজিব। জিয়াউর রহমান এই দেশের জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি। তিনি তার কর্মকাণ্ড দিয়েই এদেশে এত জনপ্রিয় হয়েছিলেন। আর শেখ হাসিনা প্রচার করতেন সবকিছু তার বাবার স্বপ্ন ছিল। তাই তিনি জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে তার বাবার মূর্তি বানিয়েছিল।কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে তার বাবার সেই মূর্তিগুলি মাটির সাথে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। জাতির জন্য কিছু করলে জাতি তা পরে স্মরণ করবে। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনা জাতির জন্য কিছু করেনি আর তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরে জাতীও তাকে ভুলে যেতে বসেছে।

তিনি বলেন, এন সি পি যেভাবে আমাদের পিছনে লেগেছে তাতে নিশ্চিত করে আমরা বলতে পারি আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত দলের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এত সুসংগঠিত করেছেন। এইজন্য সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকটি দল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিটিং করেছেন। তারা বলেছেন সংসদের নিম্নকক্ষে অনুপাত চাই, উচ্চকক্ষের অনুপাত চাই। অনুপাত ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। যারা এ কথা বলছেন তারা একটি চোরের দল। তারা দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দালালি করছেন আওয়ামী লীগের সমস্ত নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছেন। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে এ পর্যন্ত একটি আসনও পায়নি।

বিএনপির মহাসচিব হাবিব উন খান সোহেল বলেন, অনেকেই বিএনপির সাথে গাদ্দারী করেছেন এবং আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করেছেন।কিন্তু যে মানুষটি আঁতাত করতে জানে না সে মানুষটির নাম বাবু গয়েশর চন্দ্র রায় । আমরা যখন একটি মিটিং ডাকতাম তখন তার পাশাপাশি আরেকটি মিটিং ডাকা হতো। সেই মিটিং এর নাম হতো শান্তি সমাবেশ। আমাদের যারা জেলে পাঠিয়েছেন তখন আমরা বলতাম এই জেলে আপনাদেরও একদিন আসতে হবে। এই জেলে অনেকেই এসেছেন এখন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন,যারা এসি ঘরে গোল টেবিলে বসে আলোচনা করছেন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার মধ্যে তাদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। যারা পিআর পিআর করছেন তাদের জনগণের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা আবু সেলিম চৌধুরীর , ওমর শাহনেওয়াজ,মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ খোরশেদ আলম জমিদার, মাহবুব আলম মামুন,মোমিনুল ইসলাম বাহার, যুবদল নেতা মাহবুব আলম স্বাধীন, আবু জাহিদ মামুন, আমান উল্লাহ ডাবলু, কৃষক দল নেতা জুয়েল মোল্লা, শ্রমিক দল নেতা হাজী মোহাম্মদ শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সোহেল রানা,সজিব,ডাঃকামাল,নেসার খোকন,উজ্জল,আনিস, সিএনজি কামাল, সোহেল, মহিলা দল নেতা রাজিয়া বেগম প্রমূখ।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে বিএনপির এই সমাবেশে দুপুর ২ টার পর থেকে ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। বিকেল চারটার মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি সংস্কার মানে কিন্তু কুসংস্কার মানবেনা: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বনিআমিন, কেরানীগঞ্জ

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি সংস্কার মানে কিন্তু কুসংস্কার মানবে না। সংস্কারের নামে কোন কুসংস্কার করা হয় আর এতে যদি জনগণের অধিকার ভুলন্ঠিত হয় তাহলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে কতটি রাজনৈতিক দল আছে তা নির্বাচন কমিশনারও জানে না, দেশের জনগণও জানেনা। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আওয়ামী লীগসহ দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা সবাই মিলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেন আর বিএনপি এককভাবে ৩০০ আসনের প্রার্থী দেবে। নির্বাচনে আপনাদের কয়টি আসন ভাগ্যে জোটে দেখেন কিন্তু কথা বলেন বড় বড়।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেন বিএনপি ১৭ বছরে কিছুই করে নাই। বিএনপি’র কোন সামর্থ্য নাই। আবার দু একটি রাজনৈতিক দল বলছে একদলকে তাড়িয়ে আর একদলকে ক্ষমতায় আনা হবে না। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্যে বলছি গত ১৭ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা যত হামলা নির্যাতন জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন তা অন্য কোন দলের নেতাকর্মীরা হয় নাই। ৬২ সাল থেকে আন্দোলনে আছি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন তাদের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। কেন তারা এখন বৈষম্য করছেন।

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির উদ্যোগে চুনকোটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্রুত সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন
তিনি আরো বলেন, সবাই মিলে দেশ স্বাধীন করল। আর এই দেশের একক দাবিদার হলো শেখ মুজিব। জিয়াউর রহমান এই দেশের জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি। তিনি তার কর্মকাণ্ড দিয়েই এদেশে এত জনপ্রিয় হয়েছিলেন। আর শেখ হাসিনা প্রচার করতেন সবকিছু তার বাবার স্বপ্ন ছিল। তাই তিনি জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে তার বাবার মূর্তি বানিয়েছিল।কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে তার বাবার সেই মূর্তিগুলি মাটির সাথে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। জাতির জন্য কিছু করলে জাতি তা পরে স্মরণ করবে। তাই ফ্যাসিস্ট হাসিনা জাতির জন্য কিছু করেনি আর তিনি পালিয়ে যাওয়ার পরে জাতীও তাকে ভুলে যেতে বসেছে।

তিনি বলেন, এন সি পি যেভাবে আমাদের পিছনে লেগেছে তাতে নিশ্চিত করে আমরা বলতে পারি আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত দলের নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এত সুসংগঠিত করেছেন। এইজন্য সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকটি দল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিটিং করেছেন। তারা বলেছেন সংসদের নিম্নকক্ষে অনুপাত চাই, উচ্চকক্ষের অনুপাত চাই। অনুপাত ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হবে না। যারা এ কথা বলছেন তারা একটি চোরের দল। তারা দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগের দালালি করছেন আওয়ামী লীগের সমস্ত নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগকে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেছেন। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনে এ পর্যন্ত একটি আসনও পায়নি।

বিএনপির মহাসচিব হাবিব উন খান সোহেল বলেন, অনেকেই বিএনপির সাথে গাদ্দারী করেছেন এবং আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করেছেন।কিন্তু যে মানুষটি আঁতাত করতে জানে না সে মানুষটির নাম বাবু গয়েশর চন্দ্র রায় । আমরা যখন একটি মিটিং ডাকতাম তখন তার পাশাপাশি আরেকটি মিটিং ডাকা হতো। সেই মিটিং এর নাম হতো শান্তি সমাবেশ। আমাদের যারা জেলে পাঠিয়েছেন তখন আমরা বলতাম এই জেলে আপনাদেরও একদিন আসতে হবে। এই জেলে অনেকেই এসেছেন এখন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন,যারা এসি ঘরে গোল টেবিলে বসে আলোচনা করছেন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার মধ্যে তাদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। যারা পিআর পিআর করছেন তাদের জনগণের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান নাসের, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, বিএনপি নেতা আবু সেলিম চৌধুরীর , ওমর শাহনেওয়াজ,মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ খোরশেদ আলম জমিদার, মাহবুব আলম মামুন,মোমিনুল ইসলাম বাহার, যুবদল নেতা মাহবুব আলম স্বাধীন, আবু জাহিদ মামুন, আমান উল্লাহ ডাবলু, কৃষক দল নেতা জুয়েল মোল্লা, শ্রমিক দল নেতা হাজী মোহাম্মদ শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সোহেল রানা,সজিব,ডাঃকামাল,নেসার খোকন,উজ্জল,আনিস, সিএনজি কামাল, সোহেল, মহিলা দল নেতা রাজিয়া বেগম প্রমূখ।

এদিকে দীর্ঘদিন পরে বিএনপির এই সমাবেশে দুপুর ২ টার পর থেকে ইউনিয়ন থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। বিকেল চারটার মধ্যেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।