ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‌স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে কিশোরীর মৃত্যু

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়ি পালের এলাবনী গ্রামে চাঁদড়া হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এই কিশোরী ১৫ বছর মৃত্যু হল স্ক্রাব টাইফাসে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল কিশোরী গত বুধবার বিকেল নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা পরজীবী প্রকার কামড় থেকে মানব দেহে ছড়ায় স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু। এই রোগের উপসর্গ হলো, তীব্র মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা হাত পায়ে ব্যথা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী জানান, সাধারনত জঙ্গল অধ্যুসিত এলাকায় এই ধরনের পোকার পাদুর্ভাব রয়েছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এই জীবাণু দ্বারা অসুস্থতা বোধ করা সম্ভব। নচেৎ আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, শুক্রবার ওই এলাকায় ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি মেডিকেল টিম গিয়ে গ্রামবাসীদের এ বিষয়ে সচেতন করে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

পাশাপাশি জেলা জুড়ে প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বার্তা পাঠানো হয়েছে এধরনের কোন উপসর্গ দেখলে তৎক্ষণাৎ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার জন্য। বারবার গ্রামবাসীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেন।

নবম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। পরিবারের লোকেরা ভেঙে পড়েন।

নিউজটি শেয়ার করুন

‌স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে কিশোরীর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়ি পালের এলাবনী গ্রামে চাঁদড়া হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এই কিশোরী ১৫ বছর মৃত্যু হল স্ক্রাব টাইফাসে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল কিশোরী গত বুধবার বিকেল নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস বা পরজীবী প্রকার কামড় থেকে মানব দেহে ছড়ায় স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু। এই রোগের উপসর্গ হলো, তীব্র মাথাব্যথা, অত্যধিক জ্বর, গা হাত পায়ে ব্যথা।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী জানান, সাধারনত জঙ্গল অধ্যুসিত এলাকায় এই ধরনের পোকার পাদুর্ভাব রয়েছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে এই জীবাণু দ্বারা অসুস্থতা বোধ করা সম্ভব। নচেৎ আক্রান্তের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, শুক্রবার ওই এলাকায় ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি মেডিকেল টিম গিয়ে গ্রামবাসীদের এ বিষয়ে সচেতন করে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন।

পাশাপাশি জেলা জুড়ে প্রত্যেকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বার্তা পাঠানো হয়েছে এধরনের কোন উপসর্গ দেখলে তৎক্ষণাৎ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসার জন্য। বারবার গ্রামবাসীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেন।

নবম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। পরিবারের লোকেরা ভেঙে পড়েন।