ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীতে চালককে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিনতাই মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া অপর দুই আসামিকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। বুধবার বিকেল ৪টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় ২ জন যাবজ্জীবন সাজার আসামি বাদে বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলো- আব্দুর রহমান, লিয়াকত বিশ্বাস, আ. মান্নান ঘরামী। অপর আসামিরা হলো- মোহাম্মদ মিলন শেখ ও কোরবান বিশ্বাস। আসামিরা জেলার বোয়ালমারী উপজেলা ও পাবনা জেলার বাসিন্দা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার মধুখালী পৌরসভার গোন্দারদিয়া মহল্লার ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মালেক শেখ (৫৫) মধুখালী রেলগেট এলাকায় থেকে রাত্রিকালীন যাত্রী বহন করে জীবিকানির্বাহ করতেন।

গত ২০২১ সালের ১১ আগস্ট সন্ধ্যার পর ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে বের হন মালেক। পরের দিন ভোর হয়ে সকাল পার হলেও বাড়ি ফিরে না আসায় নিহতের পরিবার বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

১২ আগস্ট ওই উপজেলার ব্যাসদী এলাকায় রাস্তার পাশে ডোবার কিনারায় নিহতের মরদেহের সন্ধান পায়। গলায় গামছা পেঁচিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায় একদল দুর্বৃত্ত।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহতের ছেলে শহিদুল শেখ বাদি হয়ে মধুখালী থানায় একটি হত্যা ও রিকশা ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, মধুখালী উপজেলায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মালেক শেখকে হত্যা ও তার রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ৩ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

এছাড়া পেনাল কোডের ৪১১ ধারায় অপর দুজন আসামিকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও একজনকে খালাস প্রদান করা হয়।