ঐতিহ্য বহনকারী ট্রাম বন্ধ না করার দাবিতে শ্যামবাজারে মহামিছিল

- আপডেট সময় : ১২:৫৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
- / ১২৮ বার পড়া হয়েছে
সমরেশ রায়-শম্পা দাস, কলকাতা
সিটিইউএ ডাকে কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে থেকে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো পর্যন্ত এক মহা মিছিল করলেন। কলকাতার ঐতিহ্য বহনকারী ট্রাম যাতে সরকার বন্ধ করে দিতে না পারে।
তাহারা বলেন, তিলোত্তমা দিচ্ছে ডাক ট্রামও এবার বিচার পাক অর্থাৎ এবার সময় হয়েছে আমাদের। ট্রামকে বাঁচিয়ে রাখার ও বিচার চাওয়ার।
তারা বলেন, সরকার বিভিন্নভাবে মিথ্যা কথা বলে টানের ঐতিহ্য বিক্রি করে দিতে চাইছে। শুধু তা নয় আস্তে আস্তে রাস্তায় একটার পর একটা ট্রাম চালানো কমিয়ে দিয়েছে। এখন ডেলি আটটা থেকে দশটা ট্রাম চলে। কিন্তু এটা জেনে রাখা দরকার কথা শহরে যেভাবে জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ হলো প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক, এরাই রাস্তা জ্যামের সৃষ্টি করে। কিন্তু ট্রাম নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে চলে এমনকি দুর্ঘটনা ঘটায় না। এবং কারো রাস্তা আটকে দাঁড়ায় না। সবচাইতে কম পয়সায় মানুষ যাতায়াত করতে পারে ট্রামের সাহায্যে।
কয়েকটি কারণে ট্রাম এগোতে পারে না ও তাড়াতাড়ি যেতে পারে না। তাহার কারণ হলো- রাস্তার মাঝখানে গাড়িতে জিনিস তোলা ট্রামে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকা, গাড়ি পার্কিং করা, এবং টামে রাস্তা আটকে যেখানে সেখানে মাল তোলা নামা করার জন্যই ট্রাম জোরে দৌড়াতে পারে না। এই সকল অসুবিধা না হতো ট্রাম অনেক বেশি গতিতে দৌড়াতে পারতো। এর ফলে কলকাতা পুলিশ- কর্পোরেশন নিজেদের পকেট ভর্তি করার জন্য রাস্তায় এই সকল কাজ করাতে বাধ্য হয় বলে জানান, ট্রামকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
সরকার শুধু বেচে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন, সেখানে বাইরের লোকেদের বিক্রি করে শপিংমল গড়ে তুলছেন। এটা হতে দেওয়া যাবে না।
আজ যদি ট্রাম নিয়ে ইউরোপের ৪৫০ টি দেশ ভাবে, এমনকি পাকিস্তান পর্যন্ত চালু করার কথা ভাবছে। অথচ আমাদের সরকার নতুন কোন পন্থা না খুঁজে। ট্রাম গুলিকে না চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস নষ্ট করছি, এবং ট্রামগুলি সারিবদ্ধভাবে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
তাই আমরা দাবী জানাচ্ছি, যেভাবে তিলোত্তমার বিচার এর জন্য মানুষ দাবী জানাচ্ছে, বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিচার চাই। বিচারের দাবি জানাচ্ছি, কাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম যাতে বন্ধ না হয়ে যায়।
সরকার সম্পত্তি গুলি বিক্রি করে যাতে সেখানে অন্যদের সুযোগ করে দিতে না পারে, তাহারো দাবি জানাচ্ছি, আর যতদিন না আমাদের দাবি পূরণ না হবে আমরা এই আন্দোলন চালাবো। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও তারা এই আন্দোলন করলেন।
উপস্থিত ছিলেন সিটিইউএ’র সম্পাদক মহাদেব শী, সভাপতি ডঃ দেবাশীস ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।