ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মাছ রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র ত্রিশালে মনোনীত প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সিকদার শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গুণগত পরিবর্তনের কারিগর: মাহফুজ আলম টঙ্গীতে ১৫ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশী রিভলবার উদ্ধার ত্রিশালে অসহায় পরিবারের কাকরুল গাছের বাগান কেটে দেওয়ার অভিযোগ আইসিইউতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল, দেখার কেউ নেই চিলমারীর অসহায় রফিকুল পরিবারের পাশে চার সাংবাদিক ময়মনসিংহে স্টেশন রোডে অবৈধ হকার উচ্ছেদ রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষক সমিতির বিক্ষোভ ময়মনসিংহ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বন্যায় শেরপুরে ২৪২ স্কুলের পাঠদান বন্ধ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদীর পাড়। পাহাড়ি ঢলে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি।

এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বন্যায় শেরপুরে ২৪২ স্কুলের পাঠদান বন্ধ

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

টানা বর্ষণ আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শেরপুরের বাইরের অনেকগুলো সংগঠন কাজ করছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে বেশ কয়েকটি নদীর পাড়। পাহাড়ি ঢলে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।

গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) পানি বৃদ্ধির পর থেকে ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৪১টি।

এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে ৩০১টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ২৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

বেশি বন্যাকবলিত হয়েছে নালিতাবাড়ী উপজেলা। উপজেলার ১২ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৯টি বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে সেগুগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুলের ভেতরে পানি না উঠলে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।