ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলায় পাবিপ্রবি শিক্ষককে অব্যাহতি

- আপডেট সময় : ০৮:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০৯ বার পড়া হয়েছে
পাবনা সংবাদদাতা
ভিন্ন ধর্মের হয়েও ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। বিয়ের প্রলোভনে স্থাপন করেছেন শারিরীক সম্পর্কও। কিন্তু সবশেষ ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান ঐ শিক্ষক। ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মেলায় সেই শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতিও দেয়া হয়েছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সুব্রত কুমার বিশ্বাস। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ধর্মে হিন্দু। আর অভিযোগকারী ছাত্রী সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মুসলিম শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সুব্রত দীর্ঘদিন ধরে ঐ ছাত্রীর সাথে প্রেম করে আসছেন। ভিন্ন ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও এক পর্যায়ে ঐ শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ শিক্ষক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে ঐ ছাত্রী সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করেন। এরপর বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি তাদের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিভাগের পক্ষ থেকে ঐ শিক্ষককে ক্লাস,পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়।
এই ঘটনা জানাজানি হলে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিস্ময় প্রকাশ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অনেকদিন থেকেই জানতাম সুব্রত স্যার আর ঐ ছাত্রীর সাথে কোন সম্পর্ক আছে। আমাদের বন্ধুবান্ধবরাই এটা নিয়ে বলাবলি করতেন কিন্তু এর কোন প্রমাণ কারো কাছে ছিল না। গত দুইদিন আগেও ঐ ছাত্রীর বাবা-মাকে বিভাগে আসতে দেখেছি কিন্তু কিছু বুঝতে পারিনি। আজকে শুনলাম এই ঘটনা।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি এবং এবিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি’।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, বিভাগ থেকে এব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়ন বিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ সেল রয়েছে। আমি তাদেরকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি, যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই এটার উপযুক্ত বিচার হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি নতুন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।