ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

পঞ্চগড়ে দিনে গরম, রাতে শীতল আবহাওয়া, নিতে হয় কম্বল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭০ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় শীতের অনুভূতি। বিশেষ করে গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শীত শীত লাগছে। আবার সকাল ৮টার পর প্রখর রোদের তেজে গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাতভর টিপটিপ করে শিশির পড়ে। ৩-৪ দিন ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ এর মধ্যে ওঠানামা করছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ফসলে মাঠ, রাস্তা-ঘাটসহ ঘাসের ডগায় কুয়াশা চিক চিক করছে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। বাইরে বেরিয়ে আসা মানুষ গরম কাপড় পরিধান করেছে। রাতে ফ্যানের পরিবর্তে নিতে হয় কাঁথা কিংবা হালকা কম্বল।

এসময় দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। রোববার সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

হিমালয় কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতি বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কনকনে শীত অনুভূত হয়। আর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কমতে শুরু করেছে সর্বনিম্ন ‘তাপমাত্রা’।

শহরের মিঠাপুকুর এলাকার শামীম আহাম্মেদ বলেন, আমাদের এলাকায় ঠান্ডা শুরু হয়ে গেছে। গভীর রাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা এবং ফজরের নামাজের পর পর্যন্ত সেই কুয়াশা থাকে। দিন দিন কুয়াশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার সকালেও বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা ছিল। রাতে শীতের কারণে আপাতত কাঁথা বের করা হয়েছে।’

এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক ‘‘রোগী’’।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবুল কাশেম বলেন, অন্য এলাকার তুলনায় পঞ্চগড়ে প্রতি বছর কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত শিশু ও বয়স্করা ভাইরাসজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়। এমন রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়ে গেছে। স্থান সংকুলান হচ্ছে না। সীমিত জনবল আর সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি’’।

এদিকে শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্থানীয় মানুষজন শীতের কাপড় বের করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে রাতে পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকদের শীতের কাপড় পরতে দেখা যায়। জেলা শহরের লেপ-তোষক দোকানদারদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। অনেকে শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন’।

রাজনগর বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। এবারো আমাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, রোববার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। কয়েকদিন ধরে ভোরের দিকে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পঞ্চগড়ে দিনে গরম, রাতে শীতল আবহাওয়া, নিতে হয় কম্বল

আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

পঞ্চগড়ে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় শীতের অনুভূতি। বিশেষ করে গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত শীত শীত লাগছে। আবার সকাল ৮টার পর প্রখর রোদের তেজে গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাতভর টিপটিপ করে শিশির পড়ে। ৩-৪ দিন ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ এর মধ্যে ওঠানামা করছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। ফসলে মাঠ, রাস্তা-ঘাটসহ ঘাসের ডগায় কুয়াশা চিক চিক করছে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। বাইরে বেরিয়ে আসা মানুষ গরম কাপড় পরিধান করেছে। রাতে ফ্যানের পরিবর্তে নিতে হয় কাঁথা কিংবা হালকা কম্বল।

এসময় দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। রোববার সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।

হিমালয় কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতি বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে কনকনে শীত অনুভূত হয়। আর অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শুরু হয় শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে কমতে শুরু করেছে সর্বনিম্ন ‘তাপমাত্রা’।

শহরের মিঠাপুকুর এলাকার শামীম আহাম্মেদ বলেন, আমাদের এলাকায় ঠান্ডা শুরু হয়ে গেছে। গভীর রাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা এবং ফজরের নামাজের পর পর্যন্ত সেই কুয়াশা থাকে। দিন দিন কুয়াশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোববার সকালেও বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা ছিল। রাতে শীতের কারণে আপাতত কাঁথা বের করা হয়েছে।’

এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাড়ছে শীতজনিত রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক ‘‘রোগী’’।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবুল কাশেম বলেন, অন্য এলাকার তুলনায় পঞ্চগড়ে প্রতি বছর কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত শিশু ও বয়স্করা ভাইরাসজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হয়। এমন রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়ে গেছে। স্থান সংকুলান হচ্ছে না। সীমিত জনবল আর সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি’’।

এদিকে শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্থানীয় মানুষজন শীতের কাপড় বের করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে রাতে পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকদের শীতের কাপড় পরতে দেখা যায়। জেলা শহরের লেপ-তোষক দোকানদারদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। অনেকে শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন’।

রাজনগর বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। এবারো আমাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, রোববার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। কয়েকদিন ধরে ভোরের দিকে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে।