ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যানচেলর (ভিসি) জাকির হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাকালব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, ভিসি জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত, আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী এবং দুর্নীতিগ্রস্থ। তিনি ছাত্র জনতার অর্জিত ২য় স্বাধীনতার পরও পলাতক আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ধরে রাখতে ভিসি জাকির হোসেনের পদত্যাগ জরুরি। পদত্যাগ না করলে তাকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

পদত্যাগে আলটিমেটাম, ভিসি বললেন ‘সরে যেতে আপত্তি নেই’

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন।

‘আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী ও দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেনের পদত্যাগের দাবি তুলে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন– শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ সাগর, আব্দুল আজিজ নাহিদ, শিপন সরকার, আলম, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, রাগিব পাটোয়ারী, খন্দকার আল ইমরান, মাহমুদুল হাসান লিমন প্রমুখ।

ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাগিব পাটোয়ারী ও খন্দকার আল ইমরান বলেন, ‘ভিসি জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত, আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি ছাত্র-জনতার অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরও পলাতক আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ধরে রাখতে ভিসি জাকির হোসেনের পদত্যাগ জরুরি।’

ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ‘আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। না করলে তাকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

তবে মানবন্ধনকারীদের এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভিসি প্রফেসর জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিগত সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছি, এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু দুর্নীতি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক পদে থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

‘ভিসি পদ থেকে সরে যেতে আমার আপত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন। এই মুহূর্তে পদ থেকে সরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেতে পারে। সরকার নতুন কোনও ভিসি নিয়োগ দিলে আমি দায়িত্ব বুঝে দিয়ে সরে যাবো,’ যোগ করেন ভিসি।

আওয়ামী লীগের একাধিক পদে থাকার অভিযোগ প্রশ্নে প্রফেসর জাকির বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনও স্তরের কমিটিতে সদস্য পদে নেই। আমি পরিবেশ নিয়ে কাজ করি। দলের বিভিন্ন উপ-কমিটিতে আমার মতো এমন অনেককে বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনও দলীয় কোনও মিটিংয়েও অংশ নিইনি। ফলে পদে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়।’ 

দুর্নীতির অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে ভিসি বলেন, ‘আমার সব কার্যক্রম সবার জন্য উন্মুক্ত। দুর্নীতির কোনও দাগ আমি আমার ক্যারিয়ারে লাগতে দিইনি, দেবোও না।’

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কৃষি গুচ্ছের আওতায় প্রথমবারের মতো আগামী ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

তাই আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করার ঘোষণাও দেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন আলম, ফয়সাল আহমেদ সাগর, আব্দুল আজিজ নাহিদ, শিপন সরকার, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, রাগিব পাটোয়ারী, খন্দকার আল ইমরান, মাহমুদুল হাসান লিমন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:৫০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যানচেলর (ভিসি) জাকির হোসেনের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাকালব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, ভিসি জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত, আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী এবং দুর্নীতিগ্রস্থ। তিনি ছাত্র জনতার অর্জিত ২য় স্বাধীনতার পরও পলাতক আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ধরে রাখতে ভিসি জাকির হোসেনের পদত্যাগ জরুরি। পদত্যাগ না করলে তাকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।

পদত্যাগে আলটিমেটাম, ভিসি বললেন ‘সরে যেতে আপত্তি নেই’

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন।

‘আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী ও দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. একেএম জাকির হোসেনের পদত্যাগের দাবি তুলে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার ব্যানারে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন– শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ সাগর, আব্দুল আজিজ নাহিদ, শিপন সরকার, আলম, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, রাগিব পাটোয়ারী, খন্দকার আল ইমরান, মাহমুদুল হাসান লিমন প্রমুখ।

ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাগিব পাটোয়ারী ও খন্দকার আল ইমরান বলেন, ‘ভিসি জাকির হোসেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত, আওয়ামী লীগের একাধিক পদধারী এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি ছাত্র-জনতার অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরও পলাতক আওয়ামী দোসরদের সহযোগিতা নিয়ে প্রশাসন পরিচালনা করছেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল ধরে রাখতে ভিসি জাকির হোসেনের পদত্যাগ জরুরি।’

ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে তারা বলেন, ‘আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। না করলে তাকে জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’

তবে মানবন্ধনকারীদের এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ভিসি প্রফেসর জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিগত সরকারের সময় নিয়োগ পেয়েছি, এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু দুর্নীতি এবং আওয়ামী লীগের একাধিক পদে থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

‘ভিসি পদ থেকে সরে যেতে আমার আপত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টি নতুন। এই মুহূর্তে পদ থেকে সরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে যেতে পারে। সরকার নতুন কোনও ভিসি নিয়োগ দিলে আমি দায়িত্ব বুঝে দিয়ে সরে যাবো,’ যোগ করেন ভিসি।

আওয়ামী লীগের একাধিক পদে থাকার অভিযোগ প্রশ্নে প্রফেসর জাকির বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনও স্তরের কমিটিতে সদস্য পদে নেই। আমি পরিবেশ নিয়ে কাজ করি। দলের বিভিন্ন উপ-কমিটিতে আমার মতো এমন অনেককে বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনও দলীয় কোনও মিটিংয়েও অংশ নিইনি। ফলে পদে থাকার অভিযোগটি সঠিক নয়।’ 

দুর্নীতির অভিযোগ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে ভিসি বলেন, ‘আমার সব কার্যক্রম সবার জন্য উন্মুক্ত। দুর্নীতির কোনও দাগ আমি আমার ক্যারিয়ারে লাগতে দিইনি, দেবোও না।’

প্রসঙ্গত, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। কৃষি গুচ্ছের আওতায় প্রথমবারের মতো আগামী ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর এগ্রিকালচার ও ফিশারিজ অনুষদে ৪০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

তাই আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর প্রেরণ করার ঘোষণাও দেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন আলম, ফয়সাল আহমেদ সাগর, আব্দুল আজিজ নাহিদ, শিপন সরকার, আব্দুর রাজ্জাক রাজ, রাগিব পাটোয়ারী, খন্দকার আল ইমরান, মাহমুদুল হাসান লিমন প্রমুখ।