ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কৃষি ঋণ-বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহের দাবি বিএনপির

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান ও বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচের তেলের ব্যবস্থা করা। বন্যার পানিতে যেসব মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সুদমুক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করার দাবি জানান রিজভী।’

এবারের দেশব্যাপী বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত তাদের সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপি।

আজ রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হয়, বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান করতে হবে। নদীর বাঁধ ভেঙে যেসব গ্রাম-মহল্লা বিলীন হয়ে গেছে, সেসব স্থানে বসবাসকারীরা বর্তমানে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে, তাদেরকে সরকারি খাস জমিতে কিংবা আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা জরুরি।

রিজভী বলেন, ভয়াবহ বন্যায় শেরপুর ও নেত্রকোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রোপা আমন ও সবজি চাষিরা। সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়, শুধুমাত্র নেত্রকোনা জেলার পাঁচ উপজেলায় ২০ হাজার ৯০৯ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ৭০ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সবজি চাষের ক্ষতি হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমির। এতে পাঁচ ৩২০ কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। প্রায় এক হাজার ৭৩০টি পুকুর এবং মৎস্য খামার ডুবে গেছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ আট কোটি টাকা। শেরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ৮০ জন কৃষক। এ বছর ৯৫ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছিল, তার মধ্যে ৩৭ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাসামগ্রী বিনষ্ট হয়ে গেছে, তাদের সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী ও সহায়তা প্রদান করা দরকার। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষি ঋণ-বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহের দাবি বিএনপির

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান ও বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচের তেলের ব্যবস্থা করা। বন্যার পানিতে যেসব মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সুদমুক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করার দাবি জানান রিজভী।’

এবারের দেশব্যাপী বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত তাদের সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপি।

আজ রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হয়, বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ি পুনঃনির্মাণে সহায়তা প্রদান করতে হবে। নদীর বাঁধ ভেঙে যেসব গ্রাম-মহল্লা বিলীন হয়ে গেছে, সেসব স্থানে বসবাসকারীরা বর্তমানে উদ্বাস্তু হয়ে গেছে, তাদেরকে সরকারি খাস জমিতে কিংবা আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা জরুরি।

রিজভী বলেন, ভয়াবহ বন্যায় শেরপুর ও নেত্রকোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রোপা আমন ও সবজি চাষিরা। সরকারি সূত্র থেকে জানা যায়, শুধুমাত্র নেত্রকোনা জেলার পাঁচ উপজেলায় ২০ হাজার ৯০৯ হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ৭০ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে সবজি চাষের ক্ষতি হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমির। এতে পাঁচ ৩২০ কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৩ কোটি টাকা। প্রায় এক হাজার ৭৩০টি পুকুর এবং মৎস্য খামার ডুবে গেছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ আট কোটি টাকা। শেরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এক লাখ ৭৭ হাজার ৮০ জন কৃষক। এ বছর ৯৫ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছিল, তার মধ্যে ৩৭ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যায় নষ্ট হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বন্যার পানিতে যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাসামগ্রী বিনষ্ট হয়ে গেছে, তাদের সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা সামগ্রী ও সহায়তা প্রদান করা দরকার। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে বিএনপি এই নেতা বলেন, প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।