‘রাজধানীতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সড়কে কাজ করবেন ৩০০ শিক্ষার্থী’

- আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
- / ৭৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, যথাযথ সম্মানীর মাধ্যমে ৩০০ শিক্ষার্থী পুলিশের সাথে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে ট্রাফিক পক্ষ ২০২৪ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।’
এ সময় তিনি বলেন, ২১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ডিএমপির ট্রাফিক পক্ষের কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে ৩০০ শিক্ষার্থীকে সম্মানিসহ যুক্ত করা হয়েছে। পরে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এবার এই ট্রাফিক পক্ষে এবং এর পরেও আমাদের সাথে ছাত্র ভাইয়েরা যোগ দেবেন। প্রথম অবস্থায় প্রায় ৩০০ জন ছাত্র ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। তাদের আমরা একটা সম্মানি দেবো, এ সম্মানির পরিমাণটা এখানে বলতে চাচ্ছি না। এই ছাত্র ভাইয়েরা যদি রাস্তায় থাকেন… আপনারা দেখেছেন, ৫ আগস্টের পরে তারা রাস্তায় ভালো কাজ করেছেন।
বর্তমানে প্রায় ২ কোটিরও বেশি লোক ঢাকা শহরে বাস করে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় রাস্তা অপ্রতুল হওয়ায় যানবাহন ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ঢাকায় যে পরিমাণ রাস্তা থাকা দরকার, বাস্তবে তা নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মানুষের ঢাকামুখিতা কমানো যাচ্ছে না। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো বৃদ্ধি পেলেও পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও শৃঙ্খলা উল্লেখযোগ্যভাবে হয়নি। মূল সড়কে জনগণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে আরামদায়ক যানবাহন উল্লেখযোগ্যভাবে দেওয়া সম্ভব হয়নি। একই সড়কে রিকশা-ঠেলাগাড়িসহ অসংখ্য অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করে। মানুষ তাদের প্রয়োজনে এসব যানবাহনের দ্বারস্থ হচ্ছে। ফলে, ঢাকা মহানগরীতে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন কঠিনতর হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবি আদায়ে আন্দোলনের কারণে সড়কে শৃঙ্খলা ভেঙে যাচ্ছে। বৈধ-অবৈধ যানবাহনের আধিক্যের কারণে যানজট দিন দিন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। দেশের আপামর জনসাধারণের কথা বিবেচনা করে ছাত্ররা স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেছেন।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পুলিশের সাথে ছাত্র-জনতা, সুশীলসমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনের মূল্যবান পরামর্শে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ট্রাফিক বিভাগ বেআইনি যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের চেষ্টা সত্ত্বেও ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন আশানুরূপ হয়নি। ট্রাফিক সিগন্যাল দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে চালুর জন্য একটি গবেষকদল কাজ করছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি চালু হবে।’