ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর এই রুল দেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন, নিহতদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি, আহতদের উন্নত চিকিৎসায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৭ অক্টোবর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন আন্দোলনে আহত মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের বাসিন্দা মো. মনির মুন্না। সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন, আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনরেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

আইনজীবী রওশন আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিটে কয়েকটি নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয়েছিল। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, এ সংক্রান্ত আরো কয়েকটি রিট বিচারাধীন। ওইসব রিটে কি আদেশ হয়েছে তা এই আদালতে সামনে আসা দরকার।

এরপর আদালত নির্দেশনা না দিয়ে শুধু রুল জারি করেছেন। বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট

আপডেট সময় : ০৩:১১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর এই রুল দেন বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন, নিহতদের শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি, আহতদের উন্নত চিকিৎসায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৭ অক্টোবর বিবাদীদের আইনি নোটিশ দেন আন্দোলনে আহত মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের বাসিন্দা মো. মনির মুন্না। সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। রিটে হতাহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন, আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রওশন আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জোনরেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

আইনজীবী রওশন আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রিটে কয়েকটি নির্দেশনাসহ রুল চাওয়া হয়েছিল। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, এ সংক্রান্ত আরো কয়েকটি রিট বিচারাধীন। ওইসব রিটে কি আদেশ হয়েছে তা এই আদালতে সামনে আসা দরকার।

এরপর আদালত নির্দেশনা না দিয়ে শুধু রুল জারি করেছেন। বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।