কুড়িগ্রামে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহায়তা প্রদান

- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
- / ১১৬ বার পড়া হয়েছে
ফজলুল করিম ফারাজী, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এর উদ্যোগে অতি দরিদ্রের জীবন মান উন্নয়নে প্রশিক্ষন ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য ৫৯ জন সুবিধাভোগী নারীদের হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা বিতরন করেছে সংস্থাটি। পর্যায় ক্রমে জেলার ৩২৫০ জন নারীদের অর্থ সহায়তা পাবেন বলে জানান সংস্থাটি।
মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর দুপুরে কুড়িগ্রাম উপজেলা নির্বাহী সম্মেলন কক্ষে এ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাঈদা পারভীন, ইইপি প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার ডা: মো: কামরুল ইসলাম, প্রকল্প অফিসার কৃষিবিদ মো: মমিনুর রহমান, সহকারী প্রকল্প অফিসার মোছা: হাসিমুন নাহার প্রমুখ।
জানা গেছে, ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ইউকে সংস্থাটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে (কাঠালবাড়ী, বেলগাছা, মোগলবাসা, হলোখানা, ভোগডাঙ্গা, ঘোগাদহ, পাঁচগাছী ও যাত্রাপুর) ইউনিয়নে ইলিমিনেশন অব ইক্সট্রিম পোভারটি ইন বাংলাদেশ প্রকল্পটি (Elimination of Extreme Poverty in Bangladesh EEP) ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাস হতে কাজ করে আসছে, প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রকল্পের অধীনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় মোট ৩২৫০ জন অতি-দরিদ্র উপকারভোগীদের নিয়ে ১৩০ টি স্ব- নির্ভর দল (সেল্প-হেল্প গ্রুপ) গঠন করা হয়েছে। এই EEP মডেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ৩২৫০ টি অতি-দরিদ্র পরিবারের বর্ধিত আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করবেন।
ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ এই দলগুলির সদস্যদের বিভিন্ন আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড, নেতৃত্ব উন্নয়ন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করবেন এবং টার্গেটেড ৩২৫০টি অতি-দরিদ্র পরিবারে বিভিন্ন বৈচিত্রময় আয় সৃষ্টিকারী কার্যক্রম, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং সামাজিক বিষয়ে জ্ঞান ও স্বক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ করবেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপ-পরিচালক কৃত্রিম প্রজনন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি অফিসার ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর টেকনিক্যাল কর্মকর্তা সদস্যদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছেন।
সদস্যদের প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি সদস্য আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ২৫০০০/০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এ ছাড়াও বাড়ীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যও ১০০০/- (এক হাজার) টাকা পাবেন যেখান থেকে তারা জৈব সার পাবেন যা বসতভিটায় শাকসবজি উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করবেন।