ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদ কমিটি গঠিত এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক

শ্যামনগরে গ্রামীণ ঐতিহ্যেরে বিলুপ্তপ্রায় সামগ্রী রক্ষায় প্রদর্শনী

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রাচীন কাল হতে উপকূলীয় অঞ্চলে সময়ের প্রয়োজনে ব্যবহার হতো এমন ঐতিহ্যবাহী উপকরণের প্রদর্শনী ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ৩টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম জেলেখালী গ্রামে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে ২০টি স্টলে বিলুপ্তপ্রায় এসব ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে প্রদর্শন করেন স্থানীয় জনগোষ্ঠী।

এসব উপকরণের মধ্যে ছিল লাঙল, জোয়াল, লাটি, ঠুষি, মই, পাখে, নিড়ানি, দা, কুড়াল, বটি, কাশি, হামান দিস্তা, শিল, নোড়া, পোলো, ঝুড়ি, বাজারা, খারা, হুঁকা, সাবল, ডোল, চাঙারি, মেঠে, কলস, পিতলের বিভিন্ন উপকরণ, হারিকেন, টেমি, ঝাতি, বিভিন্ন ধরনের জাল, পূজার সামগ্রী, কাস্তে, ছেমত, হাসো, দোড়া, পাটের বস্তা, চালন, কুলো, কলকে, বাটি, কাসার জিনিস, ঢেঁকি, দাঁড়িপাল্লা, বিচলি কাটার বটি, ঘণ্টা, তামার পয়সা, বাবুই পাখির বাসা, লাউয়ের খোল, পিঁড়ি, রেডিও, টর্চ লাইচ, মাটির ব্যাংক, রুটির তাবা, পিঁড়ি, ধামা, হরিণের শিংসহ হাজারো উপকরণ।

এ সময় সেখানে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আগে জীবন-জীবিকা, জ্ঞান, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে এ সব উপকরণ ব্যবহৃত হতো। কালের পরিক্রমায় সেগুলো আজ রূপকথার গল্প হয়ে গেছে। তবে এগুলোর ব্যবহার কমলেও তা সংরক্ষণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনী পরবর্তী সংলাপে স্থানীয় কৃষক ভূধর চন্দ্র মণ্ডলের সভাপতিত্বে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ নিদর্শন টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য দেবাশিষ মণ্ডল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ, কৃষানি লতা রানী মণ্ডল, এসএসএসটির আহ্বায়ক প্রকাশ মণ্ডল, গৌতম সরদার, শিক্ষার্থী জবা মণ্ডল প্রমুখ।

আরও পড়ুন

দুর্গাপুরে ইউএনও’র সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে

কুড়িগ্রামে লগি বৈঠার তান্ডবে নিহতের স্মরণে প্রতিবাদ

সিংড়ায় বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

বক্তরা বলেন, ‘কালের বিবর্তনে উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এলাকাতে নানা ধরনের সম্পদ যেমন ছিল, তেমনি সেসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছিল নানা ধরনের উপকরণ। সেই উপকরণগুলো ছিল পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু আধুনিক কৃষির আগ্রাসন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এগুলো বিলুপ্ত হচ্ছে। তাই এসব দুর্বলতাকে পাশ কাটিয়ে আমাদের সংস্কৃতি -ঐতিহ্য ও গ্রামীণ নিদর্শন লালন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে পরিচিত করতে হবে। তারা যেন এই ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে। তার জন্য সকলে একত্রিত হয়ে সংরক্ষণের ভূমিকা রাখতে হবে।’’

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্যামনগরে গ্রামীণ ঐতিহ্যেরে বিলুপ্তপ্রায় সামগ্রী রক্ষায় প্রদর্শনী

আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রাচীন কাল হতে উপকূলীয় অঞ্চলে সময়ের প্রয়োজনে ব্যবহার হতো এমন ঐতিহ্যবাহী উপকরণের প্রদর্শনী ও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ৩টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম জেলেখালী গ্রামে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে ২০টি স্টলে বিলুপ্তপ্রায় এসব ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে প্রদর্শন করেন স্থানীয় জনগোষ্ঠী।

এসব উপকরণের মধ্যে ছিল লাঙল, জোয়াল, লাটি, ঠুষি, মই, পাখে, নিড়ানি, দা, কুড়াল, বটি, কাশি, হামান দিস্তা, শিল, নোড়া, পোলো, ঝুড়ি, বাজারা, খারা, হুঁকা, সাবল, ডোল, চাঙারি, মেঠে, কলস, পিতলের বিভিন্ন উপকরণ, হারিকেন, টেমি, ঝাতি, বিভিন্ন ধরনের জাল, পূজার সামগ্রী, কাস্তে, ছেমত, হাসো, দোড়া, পাটের বস্তা, চালন, কুলো, কলকে, বাটি, কাসার জিনিস, ঢেঁকি, দাঁড়িপাল্লা, বিচলি কাটার বটি, ঘণ্টা, তামার পয়সা, বাবুই পাখির বাসা, লাউয়ের খোল, পিঁড়ি, রেডিও, টর্চ লাইচ, মাটির ব্যাংক, রুটির তাবা, পিঁড়ি, ধামা, হরিণের শিংসহ হাজারো উপকরণ।

এ সময় সেখানে অংশ নেওয়া স্থানীয়রা জানান, আগে জীবন-জীবিকা, জ্ঞান, সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে এ সব উপকরণ ব্যবহৃত হতো। কালের পরিক্রমায় সেগুলো আজ রূপকথার গল্প হয়ে গেছে। তবে এগুলোর ব্যবহার কমলেও তা সংরক্ষণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনী পরবর্তী সংলাপে স্থানীয় কৃষক ভূধর চন্দ্র মণ্ডলের সভাপতিত্বে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ নিদর্শন টিকিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মুন্সিগঞ্জ ইউপি সদস্য দেবাশিষ মণ্ডল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাছুম বিল্লাহ, কৃষানি লতা রানী মণ্ডল, এসএসএসটির আহ্বায়ক প্রকাশ মণ্ডল, গৌতম সরদার, শিক্ষার্থী জবা মণ্ডল প্রমুখ।

আরও পড়ুন

দুর্গাপুরে ইউএনও’র সাহসী ভূমিকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে

কুড়িগ্রামে লগি বৈঠার তান্ডবে নিহতের স্মরণে প্রতিবাদ

সিংড়ায় বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

বক্তরা বলেন, ‘কালের বিবর্তনে উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। এলাকাতে নানা ধরনের সম্পদ যেমন ছিল, তেমনি সেসব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছিল নানা ধরনের উপকরণ। সেই উপকরণগুলো ছিল পরিবেশ বান্ধব। কিন্তু আধুনিক কৃষির আগ্রাসন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এগুলো বিলুপ্ত হচ্ছে। তাই এসব দুর্বলতাকে পাশ কাটিয়ে আমাদের সংস্কৃতি -ঐতিহ্য ও গ্রামীণ নিদর্শন লালন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে পরিচিত করতে হবে। তারা যেন এই ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়ে। তার জন্য সকলে একত্রিত হয়ে সংরক্ষণের ভূমিকা রাখতে হবে।’’