ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, সংস্কার প্রয়োজন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১১১ বার পড়া হয়েছে

প্রলয় ডেস্ক

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। গত দেড় দশকে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ডাটা সেন্টার, সাইবার সেন্টার করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে মনিটরিং বাড়ানোর উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপাচার্য।

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে নতুন কৌশল জানালো সরকার

প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্বের উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘এদেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাদের কারিকুলামে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। বিদ্যমান কারিকুলাম পরিবর্তন করে বিভিন আইসিটি ও সফট স্কিল অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ৬২ দিনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন উপাচার্য। বলেন, ‘আমাদের চাপে রেখে ছাত্রদের ব্যবহার করে যারা অটোপাস আদায় করতে চায় তাদের উদ্দেশে বলছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অটোপাস দেয়া হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।’

একটা সময় বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য লোকজন এ দেশে আসত বলে উল্লেখ করে প্রফেসর এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘অথচ আজ আমরা সেসব দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। গত দশকের এলোমেলো শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আজ আমাদের এই অবস্থা। এর থেকে উত্তরণের জন্য ও গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন

এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান স্বাস্থ্যের ডিজির

পুতুলকে ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চায় সরকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল ক্যাম্পাস তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন সভার সভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শোভাযাত্রা শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, সংস্কার প্রয়োজন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

আপডেট সময় : ১২:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রলয় ডেস্ক

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। গত দেড় দশকে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ডাটা সেন্টার, সাইবার সেন্টার করার চিন্তা-ভাবনা করছি। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোতে মনিটরিং বাড়ানোর উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৩০ অক্টোবর) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন উপাচার্য।

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে নতুন কৌশল জানালো সরকার

প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্বের উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘এদেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তাদের কারিকুলামে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। বিদ্যমান কারিকুলাম পরিবর্তন করে বিভিন আইসিটি ও সফট স্কিল অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ৬২ দিনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে এলোমেলো করে দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের সিন্ডিকেট সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি করেন উপাচার্য। বলেন, ‘আমাদের চাপে রেখে ছাত্রদের ব্যবহার করে যারা অটোপাস আদায় করতে চায় তাদের উদ্দেশে বলছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো অটোপাস দেয়া হবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।’

একটা সময় বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মসংস্থানের জন্য লোকজন এ দেশে আসত বলে উল্লেখ করে প্রফেসর এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘অথচ আজ আমরা সেসব দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি। গত দশকের এলোমেলো শিক্ষাব্যবস্থার কারণে আজ আমাদের এই অবস্থা। এর থেকে উত্তরণের জন্য ও গুণগত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিতে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন

এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান স্বাস্থ্যের ডিজির

পুতুলকে ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে চায় সরকার

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মডেল ক্যাম্পাস তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন সভার সভাপতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। শোভাযাত্রা শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।