ভাংগায় প্রকল্পে নয় ছয় করা পিআইও মানস বসুর অবশেষে বদলী

- আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ১১৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসুকে অবশেষে বদলী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে ভাংগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়। এর আগে মানস বসুর অন্যতম সহযোগী সাদির অন্যত্র বদলী হলেও , মানস বসু বহাল তবিয়তে ছিলেন । অবশেষে মানস বসুর বদলী হলো। উপজেলা প্রশাসনের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্রে জানাযায় , বিগত সরকারের আমলে পিআইও মানস বসু সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর আস্থাভাজন এবং তার সাথে আঁতাত করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে আসছিলেন। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর গা ডাকা দেন মুজিবুর নিক্সন চৌধুরী। মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর গা ডাকা দিলেও বহাল তবিয়তে ছিলেন পিআইও মানস বসু। ভাংগা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ( পিআইও) মানস বসু ভাংগা উপজেলায় যোগদানের পর থেকে অফিস সহকারী সাদির সহযোগিতায় স্হানীয় দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের রস চুষে নিয়ে পিআইও মানস বসু হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা!
আরো পড়ুন-
- নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ-ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ কর্মশালা
- সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিম গুলশান থেকে গ্রেপ্তার
- কুড়িগ্রামে জিয়া মঞ্চ জেলা আহবায়ক কমিটি প্রকাশ
ভাংগা উপজেলায় গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণা বেক্ষণ কর্মসূচীসহ কর্মসৃজন প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করে ব্যাপক অনিয়ম করে হাতিয়ে নিয়েছেন শ্রমিকের লক্ষ লক্ষ টাকা! এসব প্রকল্পের মধ্যে মক্তব, মাদ্রাসা, আসবাব পত্র, রাস্তা ঘাট, মাঠে মাটি ভরাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য কাবিটা, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সভাপতি ইউপি সদস্য, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা পছন্দনীয় একজন থাকেন। কোথাও কোথাও কাজ হয়েছে নামে মাত্র। কোথাও কোন কাজই হয়নি। কাজ করতে গরিমশি হলেও বরাদ্দের অর্থ উত্তোলনে আত্মসাৎ করতে ভুল হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, প্রকল্প সভাপতি ও কতিপয় জনপ্রতিনিধির যোগসাজসে কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু বিভিন্ন অর্থ বছরের ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়, যথাক্রমে কাবিটা, কাবিখা ও টিআর সহ কর্মসৃজন প্রকল্প গুলির , বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প সভাপতিসহ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অফিস খরচের নামে ৩০% ঘুষ নিয়ে বনে গেছেন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক ! ফলে বরাদ্দকৃত প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। হওয়ার কথাও নয়! তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জুনের মধ্যেই সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করেই বিল উত্তোলন করার কথা থাকলেও, জুনের আগে কাজ শেষ না করে, বিল উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে । এ জন্য তাকে কমিশন দিতে হয় ৩০%। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রকল্প সভাপতিদের অভিযোগে এসব দুর্নীতির অনুসন্ধানে এসব তথ্য বের হয়ে আসে। সদ্য সাবেক পিআইও মানস বসু যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন সেসব প্রকল্পগুলি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান সচেতন মহল।
এ বিষয়ে জানতে মানস বসুর ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। চলবে……………..