ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ময়মনসিংহ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৬

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:২০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুর এলাকার একটি ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় আব্দুল মালেক (৫০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মালেক। তিনি রহমতপুর এলাকার ‘আজাহার ফিলিং স্টেশনের’ পাশে চায়ের দোকান চালাতেন।

আগুনে এর আগে হিমেল মুন্সি (২৯), আব্দুল কুদ্দুস (৮০), আবুল হোসেন (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪২) ও কামরুল হাসান (৩৫) মারা যান। গুরুতর দগ্ধ হয়ে সুমি আক্তার (৩০) নামের আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আব্দুল মালেকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস এম নুর হোসেন। তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর রাতে ময়মনসিংহ থেকে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকায় নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক মারা যান। বর্তমানে সুমি আক্তার নামের একজন ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আগুনে নিহত প্রাইভেট কারের চালক হিমেল মুন্সির মা বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর আজহার ফিলিং স্টেশনের মালিক আজহারসহ ছয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।

উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর দুপুরে আজাহার ফিলিং স্টেশনে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই সাতটি গাড়ি পুড়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহ ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৬

আপডেট সময় : ১২:২০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতা

ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুর এলাকার একটি ফিলিং স্টেশনে আগুনের ঘটনায় আব্দুল মালেক (৫০) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মালেক। তিনি রহমতপুর এলাকার ‘আজাহার ফিলিং স্টেশনের’ পাশে চায়ের দোকান চালাতেন।

আগুনে এর আগে হিমেল মুন্সি (২৯), আব্দুল কুদ্দুস (৮০), আবুল হোসেন (৪৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪২) ও কামরুল হাসান (৩৫) মারা যান। গুরুতর দগ্ধ হয়ে সুমি আক্তার (৩০) নামের আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আব্দুল মালেকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস এম নুর হোসেন। তিনি বলেন, ৪ নভেম্বর রাতে ময়মনসিংহ থেকে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢাকায় নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মালেক মারা যান। বর্তমানে সুমি আক্তার নামের একজন ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

আগুনে নিহত প্রাইভেট কারের চালক হিমেল মুন্সির মা বাদী হয়ে ৬ নভেম্বর আজহার ফিলিং স্টেশনের মালিক আজহারসহ ছয়জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।

উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর দুপুরে আজাহার ফিলিং স্টেশনে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই সাতটি গাড়ি পুড়ে যায়।