ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কৃষককে হত্যায় ১২ বছর পর আটজনের যাবজ্জীবন

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ইউপি সদস্য নির্বাচনী প্রার্থীর সমর্থক হওয়ার জেরে ২০১২ সালে কৃষক রফিক হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার জনাকীর্ণ আদালতে দায়রা জজের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়।

মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় একই মামলায় ২০১ ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের করে জেল দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইসমাইল (৩৩), কাজল মিয়া (৩০), মজিবুর রহমান (২৭), আশ্রব আলী (২৭), ছামেদুল (৩২), শাহজাহান (২৮), নজরুল (২৮) এবং নুরুল আমিন (৪৫)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী মো. হাবিবুরের সমর্থক হওয়াকে কেন্দ্র করে পরাজিত তোতা মেম্বারের সমর্থকদের সঙ্গে দুর্গাপুরের নন্দেরছটি গ্রামের মো. আ. মোতালেবের ছেলে মো. আ. রফিক ওরফে রহিতের (২৮) তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জেরে ওই সালের ২৫ জানুয়ারি চিনাকুড়ি বিলে তোতা মেম্বারের রোপিত জমিতে পাটের বস্তায় রহিতের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রহিতের বাবা মো. আ. মোতালেব বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি পুলিশ মামলার মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এরমাঝে আসামিরা জামিনে যান। পরবর্তীতে ১২ বছর (একযুগ) দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার হাজিরা দিতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হলে এই রায় প্রদান করেন বিচারক।

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জাহিদুল হাসান সৈকত।

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃষককে হত্যায় ১২ বছর পর আটজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব সংবাদদাতা

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ইউপি সদস্য নির্বাচনী প্রার্থীর সমর্থক হওয়ার জেরে ২০১২ সালে কৃষক রফিক হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার জনাকীর্ণ আদালতে দায়রা জজের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবনসহ ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়।

মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় একই মামলায় ২০১ ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের করে জেল দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইসমাইল (৩৩), কাজল মিয়া (৩০), মজিবুর রহমান (২৭), আশ্রব আলী (২৭), ছামেদুল (৩২), শাহজাহান (২৮), নজরুল (২৮) এবং নুরুল আমিন (৪৫)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী মো. হাবিবুরের সমর্থক হওয়াকে কেন্দ্র করে পরাজিত তোতা মেম্বারের সমর্থকদের সঙ্গে দুর্গাপুরের নন্দেরছটি গ্রামের মো. আ. মোতালেবের ছেলে মো. আ. রফিক ওরফে রহিতের (২৮) তর্ক-বিতর্ক হয়। এর জেরে ওই সালের ২৫ জানুয়ারি চিনাকুড়ি বিলে তোতা মেম্বারের রোপিত জমিতে পাটের বস্তায় রহিতের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রহিতের বাবা মো. আ. মোতালেব বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি পুলিশ মামলার মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

এরমাঝে আসামিরা জামিনে যান। পরবর্তীতে ১২ বছর (একযুগ) দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার হাজিরা দিতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হলে এই রায় প্রদান করেন বিচারক।

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল হাসেম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জাহিদুল হাসান সৈকত।