ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকার শোকে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিলন তরুণ

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫৭ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া আদমদীঘিতে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসার পর স্বজনরা প্রেমিকাকে ফিরে নিয়ে যাওয়ায় চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাহিদ হোসেন (২০) নামে এক তরুণ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নাহিদ হোসেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মণ্ডলের ছেলে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাহিদ হোসেনের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের এক মেয়ের মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ থেকে নাহিদের বাড়িতে চলে আসেন ওই তরুণী। নাহিদ হোসেন তাকে নিয়ে নওগাঁ দুবলহাটি নানার বাড়িতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে তরুণীর স্বজনরা তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে সোমবার ভোরে দুবলহাটি থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

পরে সকাল সাড়ে ৭টায় নাহিদ হোসেনকে অদমদীঘির ফায়ার স্টেশনের কাছে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে যান স্বজনরা। এরপর নাহিদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নাহিদ হোসেনের মা নাসিমা বেগম জানান, ওই মেয়ের স্বজনরা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা ফিরে যাওয়ার পথে কৌশলে নাহিদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। এতে অভিমানে তার ছেলে নাহিদ বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মুন্সীগঞ্জের কোথায় মেয়ের বাড়ি, সে সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈন উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রেমিকার শোকে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিলন তরুণ

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার

বগুড়া আদমদীঘিতে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসার পর স্বজনরা প্রেমিকাকে ফিরে নিয়ে যাওয়ায় চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাহিদ হোসেন (২০) নামে এক তরুণ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নাহিদ হোসেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মণ্ডলের ছেলে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাহিদ হোসেনের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের এক মেয়ের মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ থেকে নাহিদের বাড়িতে চলে আসেন ওই তরুণী। নাহিদ হোসেন তাকে নিয়ে নওগাঁ দুবলহাটি নানার বাড়িতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে তরুণীর স্বজনরা তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে সোমবার ভোরে দুবলহাটি থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

পরে সকাল সাড়ে ৭টায় নাহিদ হোসেনকে অদমদীঘির ফায়ার স্টেশনের কাছে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে যান স্বজনরা। এরপর নাহিদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নাহিদ হোসেনের মা নাসিমা বেগম জানান, ওই মেয়ের স্বজনরা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। তারা ফিরে যাওয়ার পথে কৌশলে নাহিদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। এতে অভিমানে তার ছেলে নাহিদ বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মুন্সীগঞ্জের কোথায় মেয়ের বাড়ি, সে সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈন উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।