ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এজাহারভুক্ত সব পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার নোটিশ বন্যায় ডুবে গেছে সবজি ক্ষেত, বিপাকে কৃষক দূর্গাপুরে বন্যার পানিতে ডুবলো কৃষকের স্বপ্নের পান বরজ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ২ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ২৭৬৩৭ জন নিয়োগ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এখন সিলেটের জেলা প্রশাসক চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই, সচেতন হতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রকাশ: ইসি সচিব ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক ধর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার বানাচ্ছে একটি মহল: রুমিন ফারহানা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল

প্রলয় ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

দৈনিক প্রলয় ডেস্ক

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচিত হয়ে আসলে আমরা একা দেশ চালাবো না। আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করে যারা আমাদের সাথে আন্দোলন করেছে তাদেরকে নিয়ে দেশ চালাবো।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সরকারের সাফল্য মানে জনগণের অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আমরা তো চাই সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। আমরা চাই না শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। আসলে রাজনীতি তো একটি সায়েন্স, এজন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কী ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? না তা নয়, আসলে দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সোমবারের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্নোচ্ছলে বলেন, সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে কী কোনও তথ্য ছিল না ? তারা কী এর ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে এই গভর্নমেন্ট এখনও স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, ‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে।’

তিনি বলেন,‘সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, যেকোনও একদিকে ফোকাস দিন। পুলিশ প্রশাসন,নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তারা করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএসপিপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ চালাবে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

দৈনিক প্রলয় ডেস্ক

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচিত হয়ে আসলে আমরা একা দেশ চালাবো না। আমরা একটা জাতীয় সরকার গঠন করে যারা আমাদের সাথে আন্দোলন করেছে তাদেরকে নিয়ে দেশ চালাবো।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সরকারের সাফল্য মানে জনগণের অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানের সাফল্য এ কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আমরা তো চাই সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হবো। আমরা চাই না শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করা, গণতন্ত্রের জন্য স্পেস তৈরি করা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তো আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। এখন নতুন যারা আসছেন তারা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অন্তর্র্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। আসলে রাজনীতি তো একটি সায়েন্স, এজন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কী ক্ষমতার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? না তা নয়, আসলে দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সোমবারের আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্নোচ্ছলে বলেন, সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে কী কোনও তথ্য ছিল না ? তারা কী এর ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে এই গভর্নমেন্ট এখনও স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, ‘নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে।’

তিনি বলেন,‘সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, যেকোনও একদিকে ফোকাস দিন। পুলিশ প্রশাসন,নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিন। বাকি সংস্কারগুলো নির্বাচিত হয়ে যারা আসবেন তারা করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএসপিপি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ডা. আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশীদ, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।